সিলেটের গোয়াইনঘাটে খাল দখলকে কেন্দ্র করে জেলে তমজিদ আলী হত্যা মামলায় ২২ বছর পর চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার দুপুরে সিলেটের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন, গোয়াইনঘাট উপজেলার ইটাচকি গ্রামের আব্দুর রব ও আব্দুর রহমান, পার্শ্ববর্তী ইস্তি গ্রামের রইছ আলী ও ফজল উদ্দিন।
রায়ের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন সিলেটের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. ফখরুল ইসলাম। তিনি জানান, এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ৭ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আদালত থেকে জানা গেছে, মামলায় দণ্ড পাওয়া চার আসামির সবাই জামিনে ছিলেন। তবে আজ তাঁরা আদালতে হাজিরা দিতে এলে রায় শোনানোর পর কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া এ মামলায় মোট ১২ আসামির ৭ জনকে খালাস দেওয়া হয় এবং সাজিদুর হক নামের এক আসামি বিচার চলাকালে মারা গেছেন।
আদালত থেকে আরও জানা গেছে, ২০০১ সালের ৮ আগস্ট ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সিলেটের গোয়াইনঘাটের ইস্তি গ্রামে খাল দখলকে কেন্দ্র করে হাত-পা বেঁধে দা দিয়ে কুপিয়ে জেলে তমজিদ আলীকে হত্যার পর মরদেহ হাওরে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী পেয়ারা বেগম ১৫ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে তদন্ত কর্মকর্তা ২০০২ সালের ২ মার্চ চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০৩ সালের ৫ নভেম্বর সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন সদর সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সিদ্দিকী তানজিলুর রহমান। দুটি চার্জশিটে ১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
২০০৪ সালে আদালতে মামলার বিচার শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানিতে ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ এই হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। অন্য আসামিদের খালাস দেওয়া হয়েছে।