সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই), সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) ১৩ জনকে ক্লোজড করা হয়েছে। অবৈধভাবে টিলা কেটে উত্তোলন করা পাথর পরিবহনের গাড়ি থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁদের জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রাসেলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে আমরা তাঁদের ক্লোজড করেছি। বর্তমানে তাঁরা কর্মস্থলহীন পুলিশ লাইনে সংযুক্ত থাকবেন। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অবৈধভাবে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলা কেটে পাথর উত্তোলন শুরু করে স্থানীয়রা। এসব পাথরবাহী গাড়ি থেকে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগে উঠে কোম্পানীগঞ্জ থানার কিছু পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এমন কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। বিষয়টি আমলে নিয়েই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করে জেলা পুলিশ প্রশাসন।
এর আগে গতকাল সোমবার সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রাসেলুর রহমানের স্বাক্ষরিত আদেশে এসআই খোকন চন্দ্র সরকার ও মিলন ফকির, এএসআই শিশির আহমেদ মুকুল ও শামীম হাসানকে ক্লোজড করা হয়।
আর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত অপর আদেশে কনস্টেবল নাজমুল আহসান, মুন্না চৌধুরী, নাইমুর রহমান, তুষার পাল, আবু হানিফ, সাখাওয়াত সাদী, সাগর চন্দ্র দাস, মেহেদী হোসেন ও কিপেস চন্দ্র রায়কে ক্লোজড করা হয়। উভয় আদেশেই ১৩ জনকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।