সিলেটে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় রহিম উদ্দিন রাজু (৩৩) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে তাঁকে আটক করা হয়।
আটক রাজু নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার পশ্চিম কোনাগ্রাম এলাকার রফিক উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে নগরীর শাপলাবাগ এলাকায় ভাড়াবাসায় বসবাস করেন।
আজ দুপুরে সিআইডি ও মহানগর পুলিশের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি ড. মো. আল মামুনুর আনসারী বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন থানায় মোট ছয়টি মামলা রয়েছে—যার মধ্যে কোতোয়ালি থানায় একাধিক এবং শাহপরান থানায় চুরি ও মারধরের মামলা রয়েছে।
এ ছাড়া আগের এক মামলার বাদীর ছবি সম্পাদনা করে অসদুপায় অবলম্বন এবং হয়রানির অভিযোগেও তিনি অভিযুক্ত বলে সিআইডি জানায়।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের ওপর এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, রাজু মোটরসাইকেলে ওঠার সময় সিআইডির সদস্যরা তাঁকে আটক করার চেষ্টা করলে তিনি পকেট থেকে ছুরি বের করে উপপরিদর্শক খোরশেদ আলমকে আঘাত করেন। এরপর তিনি দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে পুনরায় মোটরসাইকেলে উঠে এলাকা ত্যাগ করেন। পরে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার মধ্যরাতে নগরীর সাগরদীঘিরপাড় এলাকায় আসামিকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হন সিআইডির উপপরিদর্শক মো. খোরশেদ আলম। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে ভোরের দিকে রাজুকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, সাদাপোশাকে অভিযান পরিচালনার সময় ওই ব্যক্তি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তাঁকে আটক করতে এগিয়ে গেলে তিনি ধারালো একটি ছুরি দিয়ে সিআইডি কর্মকর্তা খোরশেদ আলমকে আঘাত করে পালিয়ে যান।
পরে আহত কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই রাতে তাঁর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার পরপরই পুলিশ ও সিআইডি একাধিক দল অভিযান শুরু করে। আজ ভোরে এয়ারপোর্ট থানার মজুমদারী এলাকার একটি মেসে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।