সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক গোয়েন্দা সদস্যর বিরুদ্ধে নারী শ্রমিককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তবে সুনামগঞ্জের ২৮ বিজিবি অধিনায়ক ও পরিচালক তসলিম এহসান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আজ বুধবার এ ঘটনায় নারী শ্রমিকের স্বামী ফুল মিয়া সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবি অধিনায়ক ও পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বাড়িতে কয়লা আছে জানিয়ে বিজিবির লাউড়েরগড় ক্যাম্পের গোয়েন্দা সদস্য মো. আমির হোসেন ফুল মিয়ার বাড়িতে যায়। তখন ফুল মিয়া বাড়িতে না থাকায় দরজা খুলতে অপারগতা প্রকাশ করেন স্ত্রী জহুরা বেগম। এ সময় বিজিবির ওই সদস্য দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে জহুরা বেগমের পেটে আঘাত করে। পরে জহুরা বেগমের চিৎকারে প্রতিবেশী রহিমা বেগম (৩৫) এগিয়ে গেলে তাঁকেও লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। রহিমা বেগম বর্তমানে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
ফুল মিয়া স্বাক্ষরিত অভিযোগে আরও বলা হয়, এসময় ঘরে থাকা ট্রাঙ্ক থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা, জাতীয় পরিচয় পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জহুরা বেগম জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টায় আমার বাড়িতে এসে দরজা খোলার কথা বলে ডাকাডাকি করে বিজিবির গোয়েন্দা সদস্য আমির হোসেন। স্বামী ঘরে না থাকায় আমি দরজা খুলতে না করি। এ সময় ওই বিজিবি সদস্য আমার ঘরে ভারতীয় কয়লা আছে বলে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আমার পেটে আঘাত করে।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি অধিনায়ক ও পরিচালক তসলিম এহসান (পিএসসি) বলেন, এ ঘটনায় লিখিত কোনো অভিযোগ আমি পাইনি। তবে মৌখিকভাবে শুনেছি। নির্যাতনের ঘটনাটি বানোয়াট।
এদিকে এই নির্যাতনের ঘটনায় আজ বুধবার শাহ-আরাফিন মাজার সংলগ্ন স্থানীয় শতাধিক নারীর পুরুষ নির্যাতনের বিচার দাবি করে সমাবেশ করেন।
স্থানীয় লাউড়েরগড় এলাকার শ্রমিক আফছার উদ্দিন বলেন, নিরীহ নারী শ্রমিককে নির্যাতনের ঘটনায় আমরা বিচার দাবি করে আজ কয়েকশ শ্রমিক একত্রিত হয়েছিলাম। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।