ভারত সরকার বেসরকারিভাবে গম রপ্তানি বন্ধ করলেও সরকারিভাবে বন্ধ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন, ‘ভারত বেসরকারিভাবে রপ্তানি বন্ধ করলেও সরকারিভাবে গম রপ্তানি বন্ধ করেনি। হয়তো এক মাস বা ১৫ দিন পর সেটি তারা তুলে দেবে। তাই আমাদের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তাদের উৎপাদিত গম তাদের তো বিক্রি করতেই হবে।’
আজ রোববার দুপুরে সিলেট সদরের খাদ্য গুদাম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত এক বছর থেকে আমরা বিদেশ থেকে কোনো চাল আমদানি করিনি। আমাদের কৃষকদের উৎপাদিত ধান দিয়েই চালের চাহিদা মিটছে। তবে গম আমাদের দেশে হয় না, বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। গম আমদানি করা হতো ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে। কিন্তু এ দু দেশের যুদ্ধের পর আমরা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করেছি। পরবর্তীতে যা দরকার, তাও ভারত থেকে আমদানি করা হবে।’
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সিলেটে ধান চাল সংরক্ষণের জন্য ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ‘রাইস সাইলো’ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সিলেট বিভাগীয় শহরে স্থাপন করা হবে আধুনিক ‘রাইস সাইলো’। এ জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। জায়গা পাওয়া গেলেই সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এর কাজ শুরু হবে। সিলেটে ‘রাইস সাইলো’ হলে ধানসহ কয়েক হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত করে রাখা যাবে।
কৃষকের ধানের সরকারি দামের বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার বিভিন্নভাবে ভর্তুকি দিয়ে কৃষকদের সাহায্য করে এবং তাদের কাছ থেকে ঘোষণা দিয়ে দাম নির্ধারণ করে ধান কেনে। কৃষকেরা যাতে বাজারে অন্যের কাছে ধান বিক্রি করে না ঠকে, তাই এমনটি করা হয়। এবার ধানের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, তা আর বাড়ানো হবে না।