সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পৌর মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজাসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে বেলকুচি পৌর সভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আল-আমিন সরকার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ের শ্যামগাতি গ্রামের সোহেল রানা ও পৌর এলাকার জিধুরী গ্রামের রমজান আলী।
আজ রোববার দুপুরে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন এতথ্য নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় রাতে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গত ৩০ এপ্রিল বেলকুচি পৌর এলাকার সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর আঞ্চলিক সড়কের দুই পাশে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডলের লোহার পাইপ দিয়ে তৈরি ব্যানার ও তোরণ সরাতে এমপিকে নোটিশ দেন পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা।
এই নোটিশের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার বিকেলে পৌর ছাত্রলীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। পৌর মেয়র ও তাঁর লোকজন এই সভায় হামলা চালালে সংঘর্ষ বাধে। এতে অন্তত ১৭ জন আহত হন। এ ঘটনায় বেলকুচি পৌর সভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আল-আমিন সরকার বাদী হয়ে পৌর মেয়রকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।