সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌরসভা নির্মাণের দীর্ঘ ২৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও নির্ধারণ করা হয়নি নির্দিষ্ট ডামপিং এরিয়া। এতে করে যেখানে সেখানে ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। বিশেষ করে পৌর শহরের প্রবেশ পথ, ওভার ব্রিজ, জেলার স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিজ্ঞান কলেজের সামনে এবং পৌর বাসটার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় ময়লা আবর্জনা ফেলে স্তূপ তৈরি করা হচ্ছে। এতে করে দুর্গন্ধে রাস্তার পথচারীদের যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তেমনি দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। বর্ষাকালে ওই সকল ময়লার স্তূপে জীবাণুনাশক স্প্রে না করায় এডিস, ডেঙ্গু প্রজাতির মশা-মাছিসহ নানা ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিচ্ছে। যা নগরবাসীর স্বাভাবিক জনজীবনে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুকুমার সুর রায় জানান, মানব বসতির আশপাশে কোন পচা ময়লা আবর্জনার ভাগাড় থাকলে সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমিত রোগ অতি সহজে মানবদেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেই সঙ্গে ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়া রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজের প্রফেসর মো. রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, কলেজের পক্ষ থেকে পৌরসভায় বারবার লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোন কাজে আসেনি। তাই কলেজের পাশে পৌর কর্তৃপক্ষের লোকজন ময়লা আবর্জনা ফেলতে ফেলতে নির্দিষ্ট একটি স্থান করে ফেলেছে। আর এই দুর্গন্ধে ক্লাস নেওয়ার সময় ছাত্র-ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
উল্লাপাড়া পৌর শহরের কাওয়াক মহল্লায় অবস্থিত সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফিরোজ তালুকদার বলেন, গত এক মাসে হাসপাতালে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। যার মধ্যে বেশির ভাগ রোগীই ছিল শিশু।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, পাবনা ও বগুড়ার বৃহত্তর ডামপিং প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ঘাটিনা ব্রিজ এলাকায় ডামপিং এর জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। মহামারি করোনার কারণে প্রকল্পটি পিছিয়ে গেছে। করোনার এই প্রকোপ না থাকলে গত দুই মাস আগে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যেত। তবে আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।