সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ছয় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার জামতৈল পশ্চিম বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, সিরাজগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (কামারখন্দ সার্কেল) আদনান মুস্তাফিজ ও কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরন্নবী প্রধানসহ তাদের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন।
কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাতে রাব্বি উত্থান জানান, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে কামারখন্দ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া। প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে শান্তিপূর্ণভাবে ফেরার সময় কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে ১৪-১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেত্রী সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া, জেলা বিএনপির সভানেত্রী রুমানা মাহমুদ সভা শেষে দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে রেলওয়ে স্টেশনে এলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।’
কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা বলেন, ‘শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে আমাদের দলের ১৪-১৫ জন নেতা-কর্মী জামতৈল বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে হামলা করে। হামলায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৮-১০ জন নেতা-কর্মী আহত হন।’
কামারখন্দ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আদনান মোস্তাফিজ জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁদের কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে জামতৈল বাজারে দোকানপাট ভাঙচুর করেন। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে তাঁরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছোড়ে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় আমি ও ওসিসহ ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।