সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৯ নম্বর পিলারের সঙ্গে বালু বোঝাই আরেকটি বাল্কহেড জোরে ধাক্কা লেগে আটকে আছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আটকে থাকা বাল্কহেডটি সিরাজগঞ্জ থেকে বালু বোঝাই করে ফরিদপুর সিএনবি ঘাটের দিকে যাচ্ছিল বলে জানা গেছে।
এ দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর প্রকৌশলী ফারুক হোসেন বলেন, ‘নদীতে অনেক পানি বেড়েছে। নদীর প্রবল স্রোতর কারণে বাল্কহেডটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড়ের ৯ নম্বর পিলারের সঙ্গে বালু বোঝাই বাল্কহেড জোরে ধাক্কা দিয়ে আটকে যায়।’
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম নৌ-ফাঁড়ির ওসি আতাউর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইড অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী বলেন, ‘আজ সকালে সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.মনজুর হোসেন স্যার বঙ্গবন্ধু সেতু পরিদর্শনে এসেছেন। স্যার সবকিছু দেখছেন। বালু বোঝাই একটি বাল্কহেড আটকে আছে জানতে পেরেছি।’
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘দুপুরে সেতুর ৯ নম্বর পিলারের সঙ্গে বালু বোঝাই আরেকটি বাল্কহেড জোরে ধাক্কা দিয়ে মাঝামাঝি অবস্থায় আটকে আছে। খবর পেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যাই। পরে দেখি প্রচণ্ড স্রোতের মধ্যেও সেখানে পিলারের সঙ্গে আটকে আছে বাল্কহেডটি। এতে নদীর স্রোতের পুরো চাপ গিয়ে পরছে পিলারের সঙ্গে। এটি বিআইডব্লিউটিএর রেসকিউ টিম নিয়ে এসে দ্রুত সরাতে হবে। তা না হলে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে বিআইডব্লিউটিএকে খবর দেবে নৌ-পুলিশ।’
উল্লেখ্য, গত রোববার বঙ্গবন্ধু সেতুর ৯ নম্বর পিলারের সঙ্গে একটি বালু বোঝাই বাল্কহেড ধাক্কায় ডুবে যায়। এই ঘটনায় আবুল শিকদার নামে একজন নিখোঁজ হন। ঘটনার দুই দিন পার হলেও এখনো নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে পারেনি নৌ-পুলিশ।