হোম > সারা দেশ > শেরপুর

থানার গেটের সামনে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ

শেরপুর প্রতিনিধি

শ্রীবরদী থানার সামনে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

শেরপুরের শ্রীবরদীতে আওয়ামী লীগের মশাল মিছিলের ঘটনায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় জামায়াত নেতাকে আসামি করায় থানা গেটে বিক্ষোভ করেছে জামায়াতে ইসলামী। আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মো. নুরুজ্জামান বাদলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ হয়।

জানা গেছে, শ্রীবরদী মধ্যবাজারে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী কার্যালয়ের সামনে মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা থানা গেটে গিয়ে দাঁড়ান। পরে মো. নুরুজ্জামান বাদলসহ জামায়াতের সিনিয়র নেতারা শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল আজমের কক্ষে যান এবং তাঁকে ঘটনার বিস্তারিত জানান। পরে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম মোবাইল ফোনে নুরুজ্জামান বাদলের সঙ্গে কথা বলে আগামী দুই দিনের মধ্যে বিষয়টির সুরাহার আশ্বাস দেন। এরপর জামায়াত নেতারা বিক্ষোভ তুলে নেন।

জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. নুরুজ্জামান বাদল বলেন, ‘আমাদের কর্মীদের প্রতিপক্ষরা বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় যে তোমরা যারা দাঁড়িপাল্লার পক্ষে কাজ করবে, তাদের নামে মামলা দেওয়া হবে, তাদের তালিকা করা হচ্ছে। ২১ নভেম্বর শেষ রাতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ব্যানারে মশাল মিছিল হয়েছে। ওই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় শ্রীবরদী পৌর জামায়াতের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুব শাখার সভাপতি আলমাস হোসাইনের নাম ঢোকানো হয়েছে। এই বিষয়েই আমরা থানায় এসেছিলাম। শেরপুরের পুলিশ সুপার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, আগামী দুই দিনের মধ্যে তদন্ত করে আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া যায়, সেটি দেখবেন। উনাদের সহযোগিতামূলক আচরণের জন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

জামায়াত নেতা আরও বলেন, ‘এ আসনের নির্বাচন নিঃসন্দেহে একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হবে। আমার প্রতিপক্ষ বিএনপির যিনি প্রার্থী রয়েছেন, তিনি হেভিওয়েট ও তিনবারের সংসদ সদস্য। আমরা একসঙ্গে রাজনীতি করেছি। তিনিও একজন ভালো মানুষ। তারপরও কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে অনেক কথাই আসে। প্রশাসনকে অনুরোধ করব, যাতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে কেউ হয়রানি না হয় এবং নির্বাচনে কোনো হুমকি-ধমকির ঘটনা না ঘটে, সেদিকে লক্ষ রাখার জন্য।’

এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ওসি রবিউল আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাশকতার মামলায় একজন আসামির বিষয়ে জানাতে জামায়াত নেতারা থানায় এসেছিলেন। পরে এসপি স্যার নিজেই মোবাইল ফোনে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনাটি তদন্ত করে দুই দিনের মধ্যে আইনগত প্রক্রিয়ায় সুরাহার আশ্বাস দিয়েছেন।’

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের প্রতিবাদে ২১ নভেম্বর রাতে শেরপুরের শ্রীবরদীতে মশাল মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতা-কর্মী। ওই ঘটনায় সাদ্দাম হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় জামায়াত নেতা আলমাস হোসাইনকে ২৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

নকলায় ৭ অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, সাড়ে ২২ লাখ টাকা জরিমানা

ঝিনাইগাতীতে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, বৃদ্ধ নিহত

ভিডিও করতে গিয়ে বন্য হাতির পায়ে পিষ্ট হলেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর

মাছ ধরতে গিয়ে ভারতে আটক ৬ জেলে, ১৩ মাস পর হস্তান্তর

শেরপুরের নালিতাবাড়ী: গরু-ছাগলের হাটের দখলে শতবর্ষী মাঠ

অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বড় ভাইকে হত্যায় ছোট ভাইয়ের যাবজ্জীবন

শেরপুরের নালিতাবাড়ী: পিঁপড়ার ডিমে জীবিকা তাঁদের

নকলায় কৃষি কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিতের মামলায় গ্রেপ্তার ১

নালিতাবাড়ীতে জাল টাকাসহ যুবক আটক