রংপুরের পীরগাছায় একটি কলাবাগান থেকে শের আলী (৪৫) নামের এক করাতকলের শ্রমিকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের পশ্চিম ব্রাহ্মণীকুণ্ডা গ্রামের অ্যাডভোকেট জহুরুল আলমের ‘হাজী কৃষি খামারে’র কলাবাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শের আলী ওই গ্রামের মৃত মানিক উল্লাহর ছেলে। এদিকে নিহতের পরিবারের দাবি, অ্যাডভোকেট জহুরুল আলমের সঙ্গে তাঁদের দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা নিয়ে মামলা-মোকাদ্দমা চলে আসছিল।
নিহতের ভাই আফছার আলী বলেন, ‘আমার ভাই শের আলী ব্রাহ্মণীকুণ্ডা বাজারে একটি করাতকলে মিস্ত্রির কাজ করত। দীর্ঘদিন থেকে আমাদের সঙ্গে রংপুর আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জহুরুল আলম ও ইয়ার উদ্দিনের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে মামলা চলে আসছিল। জহুরুল আলম আমাদের নামে একাধিক মামলা দিয়ে কাবু করে ফেলছে।’
আফছার আলী আরও বলেন, এরপরও শের আলীকে গলা কেটে হত্যা করেছে। মরদেহ তাঁর খামারের ভেতর কলাবাগানে পাওয়া গেছে। আজ শনিবার সকালে স্থানীয় এক ব্যক্তি ঘাস কাটতে গিয়ে হাত বাঁধা অবস্থায় গলাকাটা মরদেহটি দেখতে পান। পরে পীরগাছা থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নিহত শের আলীর প্রথম স্ত্রীর তিন সন্তান রয়েছে।
নিহতের অপর দুই ভাই শাহার আলী ও এনছার আলী বলেন, ‘হাজী কৃষি খামারটি চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। গেটে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ সাইন বোর্ড, পাহারাদার ও কর্মীরা রয়েছে। একটি সুরক্ষিত বাগানের ভেতর শের আলীকে হত্যা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট জহুরুল আলম বলেন, ‘ওই জমিটি আমার না। তাঁর সঙ্গে আমার মামলা চলছে। সম্প্রতি সে একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। তাঁকে আমি কেন মারতে যাব।’
জানতে চাইলে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।