হোম > সারা দেশ > ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ে ‘পাকা’ আম কিনে ভোক্তা দেখলেন অপরিপক্ব আঁটি 

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

পরিপক্ব হওয়ার আগেই ঠাকুরগাঁওয়ের অধিকাংশ হাট-বাজারে ফলের দোকানগুলোতে উঠতে শুরু করেছে ‘পাকা’ আম। আর সে সব আম কিনে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন ভোক্তারা। ব্যবসায়ীদের দাবি, তাঁরা পাইকারি দরে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আম কিনে খুচরা বিক্রি করছেন। আম পাকানোর বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না।

এ দিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, কেমিক্যালে পাকানো এ আম মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। এ কাজে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে মাঠ পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। 

জেলার বিভিন্ন হাট বাজারের ফলের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আম সাজিয়ে হাঁক-ডাক দিয়ে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। এ সব আম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে। 

সদর উপজেলার বড় খোচাবাড়ী বাজার থেকে গত রোববার ৩০০ টাকায় দুই কেজি পাকা আম কেনেন স্কুলশিক্ষক তাইজুল ইসলাম। আজ সোমবার তিনি সে আম ফেরত দিতে ওই দোকানে যান। কিন্তু ব্যবসায়ী আর সেই আম ফেরত নেবেন না। এ নিয়ে শুরু হয় বাগ্‌বিতণ্ডা। 

তাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাকা আম বাসায় নিয়ে কেটে দেখি আঁটি পুষ্ট হয়নি এখনো। নতুন পাকা আম ভেবে মৌসুমের প্রথমে চড়া দামে দুই কেজি কিনে আনি। দুইটা আম খেতে গিয়ে দেখি প্রচণ্ড টক ও খাওয়ার অনুপযোগী। তাই বাকি আমগুলো ফেরত দিতে আসছি।’ 

একই কথা জানালেন রহিমা খাতুন নামে আরও এক ক্রেতা। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বাইরের চামড়া টকটকে পাকা দেখে আম কিনেছি। পরে কেটে দেখি পুরোটাই অপরিপক্ব। এমন অসংখ্য ক্রেতা এসব আম কিনে প্রতারণার শিকার হচ্ছে।’ 

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে খোচাবাড়ী বাজারের কয়েকজন ফল বিক্রেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকা থেকে কিছু ব্যবসায়ী আমাদের আম দিয়ে যায়। এ আম তারাই কেমিক্যাল মেশায়, আমরা মেশাই না। তবে ক্রেতা ধরে রাখতে বাধ্য হয়ে এভাবে বিক্রি করতে হচ্ছে।’ 

শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ভ্রাম্যমাণ আম বিক্রেতা খাদিমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাকা আম কিনে নিয়ে বিক্রি করি খুচরা বাজারে। এখন ব্যবসায়ীরা কীভাবে করে কেমিক্যাল দিয়ে আম পাকায় তা বলতে পারি না।’ 

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শেখ সাদীর সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তিনি বলেন, ‘আমরা বাজার পর্যবেক্ষণ করছি। যদি কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আম বাজারে পাওয়া যায়, তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে এখন আম না কেনার পরামর্শ দিচ্ছি ক্রেতাদের।’ 

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) আলমগীর কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপরিপক্ব আম বাজারজাত বন্ধ করতে জেলা প্রশাসক ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জাতের আম বাজারজাতকরণের নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে আমরা একটি ক্যালেন্ডার তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছি। এটি হয়ে গেলে ভোক্তারা আরও সচেতন হবেন।’ 

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় আম চাষির সংখ্যা ৪ হাজার ২৮১ জন। চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ২৩৬টি বাগানে ৫ হাজার ৮২ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৭ হাজার ২৪৬ টন। যার সম্ভাব্য বাজার মূল্য ২২১ কোটি টাকা।

খামার থেকে গরু লুট, আন্তজেলা ডাকাত চক্রের চার সদস্য গ্রেপ্তার

গুলিবিদ্ধ হাদির মৃত্যু: গঙ্গাচড়ায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল

ওসমান হাদিকে গুলি মানে জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা: আল মামুন

গাইবান্ধায় গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে থেকে ৪ ককটেল উদ্ধার

গঙ্গাচড়ায় হাত-পা বাঁধা যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ঠাকুরগাঁওয়ে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

‘মেডিকেলে চান্স না পেয়ে’ ৩৩ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারে শুয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, দাবি স্বজনদের

পীরগঞ্জে ধানখেত থেকে অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার

হাদির ওপর গুলির প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিএনপির বিক্ষোভ

নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু