গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে পানি নামছে ধীরগতিতে। তিস্তা, ঘাঘট ও করতোয়ার পানি কমলেও গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধা পাউবো সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে তিস্তা, ঘাঘট ও করতোয়া নদের পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি ধীরগতিতে কমার কারণে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের শুকনো খাবারের পাশাপাশি গবাদিপশুর খাদ্যর সংকট দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া বিশুদ্ধ পানির অভাবে অনেকে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা, হরিপুর কঞ্চিবাড়ী ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে ঘুরে বন্যাকবলিত চরাঞ্চল ও আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা মানুষদের দুর্ভোগের এমন চিত্র দেখা গেছে।
চর কাপাসিয়া গ্রামের মইনুল ইসলাম বলেন, বন্যায় পর্যাপ্ত শুকনা খাবারে প্রয়োজন। এগুলো না দিয়ে শুধু দুই-তিন কেজি করে চাল দিয়ে যাচ্ছে।
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক নাহিদ রসুল বলেন, জেলার চারটি উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৩৯ হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছে। ১৮১টি আশ্রয়কেন্দ্রে বানভাসিরা অবস্থান করছে। বানভাসিদের মধ্যে শুকনো খাবার ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।