হোম > সারা দেশ > রংপুর

রৌমারীতে ট্রিপল মার্ডার: আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে থানা ঘেরাও

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

থানা ঘেরাও করে আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান বিক্ষুব্ধরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও থানা ঘেরাও কর্মসূ‌চি পালন ক‌রেছেন নিহতদের স্বজনসহ বিক্ষুব্ধ জনতা। শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর ফুলবাড়ী এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে রৌমারী থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন জনতা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’—এমন নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

বিক্ষোভ শেষে উপজেলা প্রশাসন চত্বরে মানববন্ধনে অংশ নেন নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নিহত বুলু মিয়ার মেয়ে শাপলা বেগম, বোন শরিফা খাতুন, নিহত ফুলবাবুর স্ত্রী ফুলুরানী, মামলার বাদী শাহজামাল, স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াজেদ আলী, আব্দুল আজিজ প্রমুখ।

হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন ক‌রেন নিহতদের স্বজনসহ বিক্ষুব্ধ জনতা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বক্তারা বলেন, ‘ট্রিপল মার্ডার’ ঘটনার তিন আগে (১৯ জুলাই) শনিবার রাতে গরু দিয়ে ধানের চারা খাওয়াকে কেন্দ্র করে মামলার বাদী শাহজামালের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় প্রতিপক্ষ রব্বানীর ছেলে আপেল মিয়া, রাজু মিয়াসহ ১০-১৫ জনের একটি দল। ওই দিনের হামলায় আহত হন শাহজামালের স্ত্রী নুরজাহান বেগমসহ পাঁচজন। পরে তাঁদের রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ওই দিনই রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন নির্যাতনের শিকার নুরজাহান বেগম। ঘটনার সত্যতা থাকা সত্ত্বেও মামলা রেকর্ড করা হয়নি। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রতিপক্ষের লোকজন বেপরোয়া হয়ে পরিকল্পিতভাবে পুনরায় হামলা চালিয়ে এ নারকীয় এ হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। তাঁরা আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দায়িত্বে অবহেলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে রৌমারী উপজেলার ভুন্দুরচর গ্রামে শাহজামাল গ্রুপ ও রব্বানী গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে প্রতিপক্ষের হামলায় শাহজামালের দুই ভাই ফুলবাবু (৪৩), বুলু মিয়া (৫২) ও ভাতিজা নুরুল আমিন (২৭) নিহত হন। আহত হন উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন।

পরে নিহতদের স্বজন শাহজামাল মিয়া বাদী হয়ে ৩৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে রৌমারী থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রধান অভিযুক্ত রাজু মিয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।

ফুলবাড়ীতে ট্রলির চাপায় সহযোগী নিহত

কাউনিয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার

বিশেষ ট্রেনের দাবিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের রেলপথ অবরোধ, ছেড়ে যায়নি লালমনি এক্সপ্রেস

কাউনিয়ায় মহাসড়কে ঝরল দুই কৃষকের প্রাণ

রংপুর-৩ আসনে জি এম কাদেরের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

খামার থেকে গরু লুট, আন্তজেলা ডাকাত চক্রের চার সদস্য গ্রেপ্তার

গুলিবিদ্ধ হাদির মৃত্যু: গঙ্গাচড়ায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল

ওসমান হাদিকে গুলি মানে জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা: আল মামুন

গাইবান্ধায় গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে থেকে ৪ ককটেল উদ্ধার

গঙ্গাচড়ায় হাত-পা বাঁধা যুবকের মরদেহ উদ্ধার