১০ দিন আগে বিয়ে করেছেন রংপুরে অগ্রণী ব্যাংকের সেন্ট্রাল রোড শাখার নিরাপত্তাকর্মী শামীম মিয়া (২৫)। আজ রোববার সকালে ব্যাংকের ওই শাখা কার্যালয় থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর মৃত্যু রহস্যের জন্ম দিয়েছে।
শামীম মিয়া মিঠাপুকুর উপজেলার নাসিরাবাদ গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।
থানার পুলিশ অগ্রণী ব্যাংক সেন্ট্রাল রোড শাখা সূত্রে জানা যায়, ১৭ মাস ধরে শামীম মিয়া নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে অগ্রণী ব্যাংকের সেন্ট্রাল রোড শাখায় কর্মরত ছিলেন। রোববার সকালে ব্যাংকের অন্য কর্মকর্তারা অফিসে এসে শামীম মিয়াকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু তাঁর কোনো সাড়া পাওয়া না গেলে সন্দেহ হয় কর্মকর্তাদের। একপর্যায়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আরিফুল ইসলাম। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শামীম মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপক জানান, শামীম মিয়ার মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছিল। মৃত্যু রহস্যজনক হওয়ায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এদিকে শামীম মিয়ার ভাই শরিফুল ইসলাম জানান, ১০ দিন আগে বিয়ে হয়েছে শামীমের। শামীম মিয়া প্রতিদিন বাড়ি থেকে রংপুরের অগ্রণী ব্যাংকে যাতায়াত করতেন, কিন্তু গতকাল শনিবার তিনি বাড়িতে যাননি।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মেট্রোপলিটন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হোসেন আলী বলেন, ‘ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে নিরাপত্তাকর্মী শামীম মিয়ার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবু বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’