দিনাজপুরে পৃথক দুই বজ্রপাতের ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছে। সোমবার ২৩ আগস্ট দিনাজপুর শহরের ৮ নম্বর নিউটাউন রেল ঘুণ্টি এলাকার মনোয়ার চৌধুরীর পুকুরের পাশের টিনশেডে বসে পাবজী খেলার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই ৪ জন নিহত হয়।
এদিকে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ শুকদেবপুর গুড়িয়া পাড়ায় পুকুরে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে আরও ৩ জন নিহত হয়েছেন।
জানা গেছে, পুকুর পাড়ে মোবাইলে পাবজি খেলার সময় বৃষ্টি শুরু হলে পাশের টিনশেডে আশ্রয় নেয় স্থানীয় কয়েক কিশোর। এসময় বজ্রপাতে স্থানীয় সাদিকুলের ছেলে আপন (১৬), আমিনুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদ (১৩), মৃত সিদ্দিকের ছেলে হাসান (১২) ও রাজু মণ্ডলের ছেলে মিম (১২) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এসময় আহত হয় আরও ৩ জন। তাঁরা হলো বাবলুর ছেলে আটিক (১৬), ইদ্রিসের ছেলে মমিনুল (১৭) ও আব্দুল গফুরের ছেলে সাজু (১৬)।
স্থানীয় যুবক সেলিম জানান, বেশ কয়েকজন বসে মোবাইলে পাবজি খেলার সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে আমরা কাছে গিয়ে দেখি ৪ জন মরে পড়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা দুলালী বেগম জানান, তাঁরা হইচই শুনে বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখেন কয়েকটি ছেলে জড়াজড়ি করে পড়ে আছে। তখন লোকজন কাছে গিয়ে তাঁদের শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ পায়। পরে তাঁদের ধরাধরি করে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়।
দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মাসুদ জানান, ৪ জনকে মেডিকেল নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় আরও ২ জন ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানান তিনি।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাফফর হোসেন ৪ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ শুকদেবপুর গুড়িয়া পাড়ায় পুকুরে মাছ ধরার সময় স্থানীয় মোকসেদের ছেলে নুর ইসলাম (২৪), সামুর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (২৩) ও আলতাফ হোসেনের ছেলে আব্বাস আলী (২২) বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
স্থানীয় ৫ নম্বর আব্দুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়েনউদ্দীন শাহ ঘটনা দুটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে দুটি বজ্রপাতে ৭ জন নিহতের ঘটনায় এলাকা দুটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।