নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ১০টি পাড়ার পুরুষেরা। তালা ঝুলছে এলাকার একমাত্র বাজার টেপারহাটের শতাধিক দোকানে। গ্রাহক না থাকায় অলস সময় পার করছেন কৃষি ব্যাংকের টেপারহাট শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের দিন উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রে ঘোষিত নির্বাচনের ফলাফলে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মারুফ হোসেন অন্তিকের কর্মী-সমর্থকেরা ভোট পুনর্গণনার দাবিতে নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কেন্দ্রেই অবরুদ্ধ করেন। একপর্যায়ে তাঁরা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে হামলা চালান। এতে রুবেল মণ্ডল নামে এক বিজিবি সদস্য নিহত হন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আট হামলাকারীকে আটক করে।
কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অলস সময় পার করছেন। ব্যাংকের কর্মকর্তা রায়হান কবির জানান, ‘লেনদেন বলতে শুধু বিদ্যুতের বিল ও এনজিওগুলোর কিস্তির টাকা। সেগুলো আসছে অন্য এলাকা থেকে।’
মাঝাপাড়ার বাসিন্দা বৃদ্ধ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘পুরুষেরা না থাকায় নানা সমস্যার মধ্যে পড়েছি। মজুর না পাওয়ায় খেতের মধ্যে পাকা ধান ঝরে পড়ছে। আলুর খেতে ওষুধ দিতে পারছি না। বোরো বীজতলা তৈরি করাও সম্ভব হচ্ছে না।’
কেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনায় ৯৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও বেশ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছেন কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ললিত চন্দ্র রায়। পুলিশ ওই মামলায় গ্রেপ্তার আটজন আসামিকে আজ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি বর্তমান চেয়ারম্যান ও পরাজিত প্রার্থী মারুফ হোসেন অন্তিক।