লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানের আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবন থেকে ছয়টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার মধ্যরাতে সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের তল্লাশিতে এসব মরদেহ উদ্ধার হয়।
মৃতরা হলেন আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নের খাতাপাড়া এলাকার সাইদুর রহমান মিঠুলের ছেলে শ্রাবণ, সদর উপজেলার হাঁড়িভাঙ্গা এলাকার মৃত জাহেদুল ইসলাম খোকনের ছেলে তন্ময়, বানভাষা এলাকার রেজাউল করিম রেজার ছেলে রাজিব, পিংকির মোড় এলাকার বিজিবি কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের ছেলে রুশো এবং নবীনগর এলাকার সেকেন্দারের ছেলে জনিসহ পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত হলেও বাকি একজনের পরিচয় জানা যায়নি।
জানা গেছে, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরেই লালমনিরহাট জেলাজুড়ে উল্লাসে রাজপথে নেমে আসে ছাত্র-জনতা। বিকেলে জেলার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সংসদ সদস্যদের বাসা, প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানের শহরের কালীবাড়ি বাজার চারতলা আলীসান বাসায় অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। পরে রাত ৩টার দিকে লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিসের একটি দল গিয়ে আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়িটি তল্লাশি চালিয়ে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে। তবে পরিচয় শনাক্ত করতে না পারায় মরদেহগুলো ওই বাড়িতেই রাখা হয়।
তবে বিজয় মিছিলের পর থেকে লালমনিরহাটে ছয়জন শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অনুরোধে অগ্নিদগ্ধ বাসায় তল্লাশি চালায় ফায়ার সার্ভিস। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সদর থানা-পুলিশ ওই বাড়ি থেকে আগুনে পুড়ে যাওয়া ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা পাঁচজনের পরিচয় শনাক্ত করলেও একজনের পরিচয় মেলেনি।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া ছয় মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজন শিক্ষার্থী এবং একজনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।