রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদ্য ঘোষিত সমন্বয় কমিটি থেকে তিন সদস্য পদত্যাগ করেছেন। কমিটি গঠনের ২০ দিনের মাথায় আজ বুধবার বিকেলে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
পদত্যাগকারী সদস্যরা হলেন তৌফিক হাসান, মোক্তাদির কেমি ও জাহাঙ্গীর আলম জাকির।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তৌফিক হাসান। তিনি বলেন, ‘গভীর ভাবনা ও পর্যবেক্ষণের পর আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, গঠিত কমিটির প্রক্রিয়া আমাদের ব্যক্তিগত মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও ন্যায়বোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ কারণে আমরা এই কমিটি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পদত্যাগের কারণ তুলে ধরে তৌফিক হাসান বলেন, ‘কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মীদের মূল্যায়ন না করে উপেক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া আন্দোলনের সময় সাহসিকতার সঙ্গে নেতৃত্ব দেওয়া নারী সংগঠকদেরও কোনো স্থান দেওয়া হয়নি। কমিটি গঠনের পুরো প্রক্রিয়া হয়েছে একক সিদ্ধান্তে ও পক্ষপাতদুষ্টভাবে। এতে আমাদের বিশ্বাসের জায়গা চূর্ণবিচূর্ণ হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী জিসান, বিশাল, লেলিন, মেহেদি, শাওন, শুভ, মাহিদ ও আপন।
৫ জুন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে পীরগঞ্জ উপজেলা সমন্বয় কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
কমিটিতে প্রধান সমন্বয়কারী করা হয় মো. এ এস মজনুকে। এ ছাড়া যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় রাকিব মিয়া, রাকিবুল ইসলাম রিজু ও মোদাব্বেরুল ইসলামকে। কমিটিতে আরও ২১ জনকে সাধারণ সদস্য হিসেবে রাখা হয়। এই কমিটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে তিন মাস অথবা উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন না হওয়া পর্যন্ত।