রংপুরের মিঠাপুকুরে গৃহবধূ শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শ্বাসরোধে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে ‘আত্মহত্যা’ বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা মামলায় দুলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ শনিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাব-১৩ রংপুরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে জামালপুরের বকশিগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে মিঠাপুকুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম দুলাল মিয়া (২৫)। তিনি মিঠাপুকুর উপজেলার দূর্গাপুর রশনিপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। নিহত শিমু বেগম (২০) দুলাল মিয়ার স্ত্রী ছিলেন।
র্যাব বলছে, বছর দেড়েক আগে দুলাল মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় শিমু বেগমের। বিয়ের সময় যৌতুক বাবদ একটি ডিসকভার মোটরসাইকেল, ঘরের আসবাবপত্র এবং নগদ ২ লাখ টাকাও দেয় শিমুর পরিবার। এরপরও তার স্বামী দুলাল আরও এক লাখ টাকা দাবি করে আসছিল। শিমুর পরিবার তা দিতে না পারায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই মধ্যে গত ৭ মার্চ শিমু বেগমকে তাঁর স্বামী দুলাল মিয়া, শ্বশুর বাবলু মিয়া এবং শ্বাশুরী দুলালী বেগম মিলে মারধরের একপর্যায়ে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে শিমুর মুখে বিষ দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে দুলালের পরিবারের লোকজন।
র্যাব-১৩ রংপুরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় শিমুর বাবা বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় হত্যা মামলা করেন। বিষয়টি ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে স্বামী দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।’