পরকীয়া প্রেমের জেরে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ময়না খাতুন (৩০) নামে এক নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার বিকেল ৪টার দিকে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মিঞা এই কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
ওই আদালতের অতিরিক্ত পিপি জেবু ন্নেছা এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ময়না খাতুন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার চড়ুই মুরী গ্রামের মোজদার আলীর মেয়ে।
মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১২ সালের জুলাই মাসে ময়না খাতুনের সঙ্গে পাশ্ববর্তী শাহজাদপুর উপজেলার চক হরিপুর গ্রামের জহর আলী সরকারের ছেলে বাবু সরকারের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকেই পার্শ্ববর্তী ভদ্রকোল চরপাড়া গ্রামের আহম্মদ আলীর সঙ্গে ময়মা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যে কারণে ময়না শ্বশুর বাড়ি না থেকে বাবার বাড়িতে থাকতে পছন্দ করত।
২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে ময়না খাতুন স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। পরবর্তীতে ২১ সেপ্টেম্বর বাবু সরকার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে আসে স্ত্রীকে নিতে।
দুপুরে বাবু সরকারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্ত্রী আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা জহর আলী সরকার বাদী হয়ে ময়না খাতুন ও পরকীয়া প্রেমিক আহম্মদ আলীসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে উল্লাপাড়া মডেল থানার মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ ময়না খাতুন ও পরকীয়া প্রেমিক আহম্মদ আলীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে। মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ ময়না খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পরকীয়া প্রেমিক আহম্মদ আলীকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।