নাটোরের লালপুর বাজারে সকাল থেকে পদ্মা নদীর বিভিন্ন প্রকার টাটকা মাছের বাজার জমে ওঠে। লালপুর বাজারের এক্সিম ব্যাংকের সামনে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে এসেছেন নদীর টাটকা মাছ কিনতে।
বুধবার (২৮ জুলাই) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, জেলেরা গামলা-থালায় করে চিংড়ি, বেলে, ট্যাংরা, পুঁটিসহ নানা প্রজাতির মাছের পসরা বসিয়েছেন। ওজন ছাড়া ‘হাকচা’ দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ।
জেলে জহুরুল ইসলাম জানান, তিনি রাতভর নদীতে জাল নিয়ে মাছ ধরেন। বেশি মাছ পেলে আড়তে বিক্রি করেন। অল্প হলে আড়তে পোষায় না। তাই খোলা বাজারে বিক্রি করছেন। তিনি আরও বলেন, লালপুরে পদ্মাতীরবর্তী দুড়দুড়িয়া, বিলমাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, গৌরীপুরে প্রতিদিন সকালে এমন মাছের বাজার বসে।
আরেকজন জেলে এনামুল হক বলেন, খলসুন ও ছিপ (বড়শি) দিয়ে মাছ ধরেন। অনেক সময় ৮ থেকে ১০ কেজি ওজনের বড় মাছও পান। সেগুলো হাজার টাকার বেশি কেজি দরে বিক্রি হয়।
মাছ কিনতে আসা দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন, `বাড়িতে মেয়ে-জামাই এসেছে। তাই স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এখানে নদীর টাটকা মাছ কিনতে এসেছি। এই বাজারে মাছের দামও তুলনামূলক কম।’
হোটেলের মালিক মামুনুর রহমান বলেন, নদীর মাছের চাহিদা বেশি। তাই হোটেলের জন্য এখান থেকে মাছ কেনেন। লকডাউনে সব বন্ধ থাকায় মাছ কম দামে পাওয়া যাচ্ছে।
এ ছাড়া স্থানীয় পুকুর ও নদী থেকে খুচরা বিক্রতারা মাছ সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন লালপুর মাছের আড়তে। মাছচাষি বজলুর রহমান বলেন, পুকুরে মাছের চাষ করে বাজারে বিক্রি করতে আসেন। সব ধরনের মাছ এখানে পাওয়া যায়।
মাছ ব্যবসায়ী রুস্তম আলী বলেন, বাজারে প্রতি কেজি মৃগেল ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, রুই ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাশ ৭০ থেকে ১০০ টাকা, সিলভার কার্প ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় ও তাজা মাছ পাঠানো হয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়।