হোম > সারা দেশ > সিরাজগঞ্জ

ঘটি গরম বিক্রি করেই চলে সংসার

প্রতিনিধি, কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ)

প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে কাঁধে ঝুড়ি, পেছনে ব্যাগ এবং ঘটিতে করে কয়লা জ্বালিয়ে ভাজা বিক্রি করতে বের হন ফজল আলী। তারপর জেলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন গরম-গরম ভাজা। ফজল আলীর বয়স ষাটের বেশি। আবাদি জমিজমা নেই বললেই চলে। তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। দুই ছেলে এখন গার্মেন্টসে কাজ করেন। মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ভারী কাজ করার মতো তেমন শক্তি নেই। পাশাপাশি পুঁজিও নেই। তাই ঘটি গরমই তাঁর ভালো লাগার পেশা।

গত মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় ঝুনঝুনানি বাজিয়ে বলছেন এই ঘটি গরম, ঘটি গরম। পাশেই খাঁন ফ্যাশান জোনের মালিক রাসেল খাঁনের দোকানে দাঁড়িয়ে  ছিলাম। কেনা হলো ১০ টাকার ঘটি গরম। সেই ফাঁকে কথা হয় ফজল আলীর সঙ্গে। তাঁর বাড়ি পাবনা জেলার চাটমোহর থানার শাহপুর গ্রামে।

ফজর আলী জানান, স্ত্রীকে নিয়ে নিজেই চিড়া, চানাচুর, জিরা  সাদা, গোটা, হলুদ, মরিচ, তেজপাতা, ধনিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের মসলা দিয়ে তৈরি করেন ঘটি গরম। দিন শেষে বিক্রি হয় প্রায় ১২ শ টাকা। খরচ বাদ দিয়ে তাঁর থাকে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। প্রায় ৩৫ বছর ধরে ঘটি গরম বিক্রি করেই চলছে তাঁর সংসার।

ফজল আলী জানান, করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তেমন কেনাবেচা নেই তাঁর। বর্তমানে ট্রেন ও বাস চলাচল করায় বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। তবে আগের মতো না। কোনো মতে চলছে তাঁর সংসার।

ফজল আলী বলেন, `শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছেলে মেয়েদের সঙ্গে দেখা হয় না অনেক দিন হলো। তাদের কাছে ৫ টাকার ঘটি গরম বিক্রি করে তাদের সুন্দর সেই হাসিটা দেখি না। দিন শেষে ঘটি বিক্রি করে হাসিটাই আমাকে জেলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে নিয়ে যায়।'

দুর্গাপুরে বধ্যভূমিতে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা ও মোনাজাত

রাকসুর জিএসকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার ফেসবুক পোস্ট

বগুড়ায় ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে চালক নিহত, আহত তিন

গভীর নলকূপ খনন: বরেন্দ্রজুড়ে শত শত মৃত্যুকূপ

শিশু সাজিদের শেষ বিদায়ে হাজারো মানুষের ঢল

আমার একটা কলিজা হারায় ফেলছি, বিচার চাই: সাজিদের বাবা

প্রাথমিকে শতভাগ বই, মাধ্যমিকে এল অর্ধেক

সব চেষ্টা—আকুতি বিফলে, মায়ের কোলে মৃত সাজিদ

শিশু সাজিদ মারা গেছে

শিশু সাজিদকে উদ্ধার, নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে