হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

রাবি শিক্ষক তাহের হত্যা মামলা: এক আসামিকে ফাঁসি না দিতে আইনজীবীর চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার আসামি জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী এস এন গোস্বামী। গতকাল সোমবার তিনি চিঠি পাঠিয়ে রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষের কাছে এ অনুরোধ জানান।

আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবী বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।

এস এন গোস্বামী বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে করা একটি রিটের শুনানি এখনো হয়নি। এ অবস্থায় রিটের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসি কার্যকর না করতে কারা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত চিঠি কারা কর্তৃপক্ষ পেয়েছে কি না তা আমি জানি না।’

এদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার আবদুল জলিলের মোবাইলে কল করা হয়। কিন্তু তিনি রিসিভ না করায় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাবি শিক্ষকদের পশ্চিমপাড়া আবাসিক কোয়ার্টারের পেছন থেকে অধ্যাপক ড. তাহের আহমেদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, অধ্যাপক ড. তাহের বিভাগের একাডেমিক কমিটির প্রধান ছিলেন। একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিয়া মো. মহিউদ্দিন অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য কমিটির সুপারিশ চেয়ে আসছিলেন। কিন্তু বাস্তব কারণে অধ্যাপক তাহের সুপারিশ করেননি। মূলত পদোন্নতি না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মিয়া মহিউদ্দিন তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

এই মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর আদালত চারজনকে ফাঁসি ও দুজনকে খালাস দেন। পরে দণ্ডিত আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। এতে দুজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালাম।

ফাঁসি বহাল থাকা দুজন হলেন অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও রাবির ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের তৎকালীন সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মো. মহিউদ্দিন। রায় ঘোষণার পর থেকেই তাঁরা রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। তাঁদের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে।

সব প্রক্রিয়া শেষে দুই ফাঁসির আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনও করেছিলেন। এ আবেদনও নাকচ হয়েছে। কারাবিধি অনুযায়ী, ২৫ জুলাই থেকে ১ আগস্টের মধ্যে যেকোনো দিন আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করার কথা।

শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি: রাকসু জিএস আম্মার

রাজশাহী-৫ আসনে জামায়াতের প্রার্থী পরিবর্তন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: তহবিলের হিসাব না পেয়ে দৃশ্যত স্থবির রাকসু

রাজশাহীতে র‍্যাবের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

রাজশাহীর চরাঞ্চলে শিয়ালের আতঙ্ক, এক রাতে আক্রান্ত ২০০ গরু

বগুড়ায় বিএনপির মিছিলে হামলার মামলায় শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ওসমান হাদি হত্যার বিচার দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

সিরাজগঞ্জে লাশবাহী গাড়ির সঙ্গে সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষ, আহত ২

যুবকের হাত-পা কেটে দেওয়ার অভিযোগ জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের বিরুদ্ধে

চিড়িয়াখানা ফাঁকা করে আবার প্রাণ ফেরানোর চেষ্টায় রাসিক