সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে নিজ বাড়ির শোয়ার ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, গৃহবধূকে হত্যার পর তাঁর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। আজ সকালে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের চৌবাড়ী দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দম্পতি হলেন চৌবাড়ী গ্রামের সবের মোল্লার ছেলে শফিকুল ইসলাম (২১) ও তাঁর স্ত্রী বেলকুচি উপজেলার তামাই কুঠিপাড়া গ্রামের নুরু শেখের মেয়ে নূরী খাতুন (১৯)।
স্থানীয়রা বলছেন, রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাতেন শফিকুল। এর আগেও দুটি বিয়ে করে তালাক দেন তিনি। নূরী ছিলেন শফিকুলের তৃতীয় স্ত্রী।
শফিকুলের বাবা সবের মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শফিকুল ও নূরী ঘুম থেকে না ওঠায় দরজায় দাঁড়িয়ে ডাকতে থাকি। তখনো কোনো সাড়া না পেয়ে জানালা কেটে দেখি আমার ছেলে ঘরের ধরনার সঙ্গে ঝুলছে আর ওর বউ মেঝেতে পড়ে আছে। পরে ঘরের দরজা কেটে ছেলের মরদেহ নিচে নামাই। তখন স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।’
এদিকে গৃহবধূ নূরী খাতুনের মা ফরিদা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১৩ মাস আগে প্রস্তাবের মাধ্যমে শফিকুলের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানাভাবে নির্যাতন করত। একপর্যায়ে পরিবার থেকে মেয়ে ও জামাই আলাদা হয়ে যায়। কয়েক দিন আগে মেয়ের শ্বশুরের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হওয়ায় আমার মেয়ে ও জামাই আমাদের বাড়িতে চলে আসে। অনেক বোঝানোর পর তারা গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি চলে যায়।’
এ বিষয়ে কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরনবী প্রধান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কলহের জেরে শফিকুল তাঁর স্ত্রী নূরীকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘থানার পুলিশের পাশাপাশি ডিবি ও সিআইডি পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত শেষ হলে প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।’