হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

রামেকে অডিটরদের ঘুষ দেওয়ার নামে চাঁদা তোলার তদন্ত সাত কার্যদিবসেও অসমাপ্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের অডিটরদের ঘুষ দেওয়ার নামে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডের ইনচার্জদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগের তদন্ত সাত কার্যদিবসেও শেষ হয়নি। তদন্ত কমিটি আরও সাত কার্যদিবস সময় নিয়েছে। 

হাসপাতালের একাধিক সূত্র দাবি করেছে, তদন্ত কমিটি এ নিয়ে কোনো কাজই করেনি। ওয়ার্ড ইনচার্জদের সঙ্গেও কেউ কথা বলেননি। 

তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে জানতে কমিটির প্রধান ও হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবু তালেবকে আজ সোমবার দুপুরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। 

তবে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহম্মদ বলেন, ‘তদন্ত কমিটির কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি। তদন্ত কমিটি আরও সাত কার্যদিবস সময় নিয়েছে। তদন্ত শেষে তারা রিপোর্ট দেবে। এরপর সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ 

এর আগে ২১ এপ্রিল স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তা হাসপাতালটিতে নিরীক্ষায় আসেন। তাঁরা ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত হাসপাতালে ছিলেন। এই অডিটরদের ঘুষ দেওয়ার নামে হাসপাতালের ৫৭টি ওয়ার্ডের ইনচার্জের কাছ থেকে মাথা পিছু ১ হাজার ২০০ টাকা করে তোলার অভিযোগ ওঠে। 

মূলত হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোয় নার্সিং কর্মকর্তারা ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কয়েকজন ওয়ার্ড ইনচার্জ চাঁদা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। 

তাঁরা জানান, হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক সুফিয়া খাতুন ও নার্সিং সুপারভাইজার ময়েজ উদ্দিন নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কামরুন্নাহার পান্নার মাধ্যমে এই চাঁদা তুলেছেন। এই টাকা আসলেই অডিটরদের দেওয়া হয়েছে, নাকি ওই তিন কর্মকর্তা নিজেরাই আত্মসাৎ করেছেন—তা তাঁরা জানেন না। 

এদিকে নার্সিং সুপারভাইজার ময়েজ উদ্দিন ওয়ার্ড ইনচার্জ ও নার্সদের ফোন করে চাঁদা দিতে বলছেন, এমন একাধিক অডিও রেকর্ডও ফাঁস হয়েছে। এতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘অডিটররা কিছু চাচ্ছে।’ 

তবে হাসপাতালটিতে অডিট করতে যাওয়া স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা ও হিসাব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অডিটে গিয়ে আমরা টাকা-পয়সা নিইনি।’ 

এ নিয়ে ২৫ এপ্রিল আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর সেদিনই তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহম্মদ। তদন্ত কমিটিকে বেঁধে দেওয়া সময় গত শনিবার শেষ হয়েছে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ হয়নি।

রাবিতে পদত্যাগী ছয় ডিনের কাজের দায়িত্বে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যদ্বয়

রাবিতে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে: ডিনদের পদত্যাগ ইস্যুতে ছাত্রদল

আন্দোলনের মুখে রাবিতে আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগ

নিরাপত্তা শঙ্কায় রাবি শিক্ষকের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

ওসমান হাদি ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন: তারেক রহমান

রাবির ৬ ডিনের পদত্যাগ দাবি: ভিসি, প্রো-ভিসির দপ্তরে তালার পর সভা, সিদ্ধান্ত রাতে

শিশু সাজিদের পরিবারকে অনুদান দিল জামায়াত

বগুড়ায় ট্রাকচাপায় কলেজছাত্র নিহত

দুই ধান ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকা ও কৃষকের তিনটি গরু চুরি

রাবিতে ৬ ডিনের চেম্বারে তালা, দায়িত্ব ছাড়তে রাজি হয়েছেন বলে জানালেন জিএস আম্মার