হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

কলেজ অধ্যক্ষকে অপহরণের অভিযোগ সহকর্মীদের বিরুদ্ধে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদ রানাকে অপহরণের পর অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে তার পরিবার। এর আগের দিন সোমবার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন তিনি।

এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক রিন্টু দে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অধ্যক্ষের বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। পুলিশ তদন্তের কাজ করছে। পাশাপাশি র‍্যাবেও এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।’

নিখোঁজ অধ্যক্ষ মাসুদ রানা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হন।

সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, মাসুদ রানার সঙ্গে একই কলেজের উপাধ্যক্ষ সানোয়ার, প্রভাষক কে. এম খালেকুজ্জামান, প্রভাষক হাসানুজ জামান সোহেল, প্রভাষক সায়েদুলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। উভয়ের মধ্যে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।

গত ১৩ নভেম্বর বিকেলে মামলাসংক্রান্ত কাজে ঢাকায় হাইকোর্টে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওনা দেন মাসুদ রানা। রাত ১১টার দিকে পরিবারের লোকজন তাঁর মোবাইলে ফোন দিয়ে নম্বরটি বন্ধ পান। তখন থেকে বিভিন্ন জায়গায় তাঁর খোঁজ করা হয়। পরে রাত ১২টার দিকে মাসুদ রানার ফেসবুক আইডি থেকে একটি লেখা পোস্ট করা হয়।

ফেসবুক আইডিতে লেখা হয়, ‘পাঁচজনের টিম আমায় চন্দ্রা থেকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়েছিল। এই ফোনটা ব্যাগে ছিল। আরেকটা ওরা ভেঙে ফেলেছে। আমি সম্ভবত সদরঘাটের কোনো পুরোনো ভবনে। এরা রাস্তায় কথা বলেছে ভাইস প্রিন্সিপাল সানোয়ার, কে. এম খালেকুজ্জামান, প্রভাষক হাসানুজ্জামান, প্রভাষক সাইদুল দের সাথে। এরা মনে হয় মেরে ফেলবে আমায়। মাইক্রোতে অনেক মারধর করেছে। বাথরুমের কথা বলে আমি এই বিপদের কথা লিখতে পারলাম। এরা শুধু রিজিকেই আঘাত করেনি, এখন দেখছি আমার জীবনের ওপর চরম আঘাত। আল্লাহ আমায় বাঁচাও আর এদের বিচার কর।’

উল্লেখিত পোস্ট দেখার পর মাসুদ রানার দুটি মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে দেখা যায়, দুটি নম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার, মুক্তিনগর, চিটাগাং রোড, সানারপাড়া এলাকায়। এই এলাকার কোনো স্থানে মাসুদ রানাকে আটক করে রাখা হয়েছে বলে সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে কলেজ অধ্যক্ষ মাসুদ রানার অপহরণের খবর প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে কলেজের উপাধ্যক্ষ সানোয়ার, প্রভাষক কে এম খালেকুজ্জামান, প্রভাষক হাসানুজ জামান সোহেল, প্রভাষক সায়েদুল গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। কলেজে গিয়ে তাঁদের পাওয়া যায়নি।

নিখোঁজ মাসুদ রানার স্ত্রী লতা পারভিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কলেজের বিরোধের কারণে আমার স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণের কারণে আমি বেলকুচি থানায় গিয়েছিলাম মামলা করার জন্য। থানায় গিয়ে দেখি, যাঁদের বিরুদ্ধে আমার স্বামী ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, তাঁরা থানায় বসে আছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওসি আমার মামলা নেয়নি। কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল সানোয়ার, প্রভাষক কে এম খালেকুজ্জামান, প্রভাষক হাসানুজ জামান সোহেল, প্রভাষক সায়েদুলকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আমার স্বামীর সন্ধান পাওয়া যাবে।’

এ বিষয়ে জানার জন্য বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

রাকসুর জিএসকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার ফেসবুক পোস্ট

বগুড়ায় ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে চালক নিহত, আহত তিন

গভীর নলকূপ খনন: বরেন্দ্রজুড়ে শত শত মৃত্যুকূপ

শিশু সাজিদের শেষ বিদায়ে হাজারো মানুষের ঢল

আমার একটা কলিজা হারায় ফেলছি, বিচার চাই: সাজিদের বাবা

প্রাথমিকে শতভাগ বই, মাধ্যমিকে এল অর্ধেক

সব চেষ্টা—আকুতি বিফলে, মায়ের কোলে মৃত সাজিদ

শিশু সাজিদ মারা গেছে

শিশু সাজিদকে উদ্ধার, নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে

শিশু সাজিদের বাঁচার আশা নেই, বন্ধ করা হয়েছে অক্সিজেন