চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবগঞ্জে আলম হোসেন (৫০) নামে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে নিহতের ভাই বাবলু হোসেন বাবু বাদি হয়ে ৫৯ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫-২০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ।
থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নয়ালাভাঙা এলাকার রাজু আহমেদ (২৯), বাবলু (৩৫) ও দুরুল হোদা (৫৫)। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য ও নয়ালাভাঙা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালামকে।
মামলার বাদি বাবলু হোসেন বাবু জানান, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁর ভাই হত্যা করা হয়েছে। অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে আলমকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নয়ালাভাঙার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া একটার দিকে আলম হোসেন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় সুন্দরপুর-নবাব মোড় এলাকায় পৌঁছালে ৭-৮ জন দুর্বৃত্তের একটি দল ককটেল ফাটিয়ে তাঁর গতিরোধ করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আলম হোসেন সুন্দরপুর-ঝাপড়াপাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য এবং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন।