নাটোরের লালপুরে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস-৭৬০ ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল রোববার পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
জানা গেছে, গতকাল বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে উপজেলার আব্দুলপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশনে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস-৭৬০ ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় কারও অবহেলা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ট্রেনটি আব্দুলপুর স্টেশনে ধীর গতিতেই ঢুকছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই ট্রেনের গতি বেড়ে যায় এবং ট্রেনটি স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম অতিক্রম করে যাওয়ার সময় আউটার সিগনালের কাছে ইঞ্জিন ও ইঞ্জিনের সঙ্গে বগির কিছু অংশ লাইনচ্যুত হয়। ফলে ট্রেনটি বিকট শব্দ করে থেমে যায়।
ওই ট্রেনের যাত্রী বাগাতিপাড়ার জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) বলেন, ‘পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বিকেল ৪টার সময় ছেড়ে আসে। আব্দুলপুর স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু স্টেশনে ঢোকার মুখে হঠাৎ করেই গতি বেড়ে যায়। ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হওয়ার সময় প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই চিৎকার করতে থাকেন।’
বাংলাদেশ রেলওয়ে (পশ্চিম) রাজশাহীর মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঈশ্বরদী থেকে একটি রিলিফ ট্রেন পাঠানো হয়। রাত দেড়টার সময় উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করে লাইনচ্যুত ইঞ্জিন ও বগি দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মহাব্যবস্থাপক আরও বলেন, কী কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে কারও অবহেলা উঠে আসলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।