হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

অবরোধে রাজশাহী থেকে ছাড়ছে না বিআরটিসির বাস

রিমন রহমান, রাজশাহী

বিএনপির ডাকা অবরোধের মধ্যেই রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাচ্ছে ব্যক্তিমালিকানাধীন যাত্রীবাহী বাস। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাসই চলছে না। সরকারি বাস বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বিআরটিসি বলছে, যাত্রীর সংকটেই সব জেলা থেকে দূরপাল্লার বাস চালানো সম্ভব হচ্ছে না। 

গত ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে বিএনপি। এরপর থেকে বিএনপি-জামায়াত দফায় দফায় অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই অবরোধ ‘প্রতিহত করতে’ মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সতর্ক পুলিশ প্রশাসনও। তার পরও রাজশাহীর বাসচালক ও হেলপারদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। এর মধ্যেই তাঁরা গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছেন মালিকদের চাপে। তবে বসে রয়েছে সরকারি বাসগুলো। 

রাজশাহী নগরীর কুমারপাড়া মোড়ে বিআরটিসির বাস ডিপো। এখান থেকে নাটোর, পাবনা, নওগাঁ, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, বরিশাল, ঝিনাইদহ, যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, গাইবান্ধা, রংপুর, সৈয়দপুর, নীলফামারীসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে বাস চলাচল করে। 

আজ বুধবার সকালে ওই ডিপোতে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ছোট গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে বিআরটিসির ৯টি বাস চোখে পড়ে। কর্মচারীরা জানান, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে কর্তৃপক্ষ নিষেধ করে রেখেছে। তাঁরা কথা বলতে পারবেন না। 

পরে নাম না জানিয়ে এক কর্মচারী বলেন, যেদিন থেকে হরতাল-অবরোধ শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই এই ডিপো বন্ধ। এখানে পড়ে থাকা ৯টি বাসের মধ্যে তিনটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। এই ডিপোর দুটি বাস চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ লাইনে এবং একটি সাতক্ষীরার শ্যামনগর টার্মিনালে রাখা আছে। কর্তৃপক্ষ তাঁদের বাস চালাতে নিষেধ করেছে। 

সকালে এই ডিপোতে টিকিটের সন্ধানে আসেন রাজশাহীর বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক রিয়াসাত আজিজ। তিনি বলেন, ‘আমার এক আত্মীয় নওগাঁর নজিপুরে যাবেন। তাঁর জন্য টিকিট নিতে এসেছিলাম। শুনছি, বিআরটিসির বাসই বন্ধ। এটা এক কথায় ভোগান্তি। মানুষের আপদ-বিপদ তো লেগেই আছে। অবরোধের কারণে সরকারি বাস বন্ধ রাখা দুঃখজনক। কারণ, এটা তো জনগণের বাস। জনগণের জন্য চালানো উচিত।’ 

বিআরটিসি বাস না চললেও রাজশাহীর সঙ্গে পাশের জেলার বাস চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক। রাতে দূরপাল্লার বাসও চলছে। 

রাজশাহী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো বলেন, ‘দূরের যাত্রী কম হচ্ছে, পোষাচ্ছে না। চালক-হেলপাররাও ভয় পাচ্ছেন। তাই রাজশাহী থেকে পাশের জেলা পর্যন্ত বাস চালানো হচ্ছে। তারপর ওই জেলা থেকে তার পাশের জেলা পর্যন্ত বাস চলছে। এভাবে চালাতে হচ্ছে। রাতে দূরপাল্লার বাসও চলছে। দিনে বন্ধ থাকছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য।’ 

মতিউল হক টিটো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও সরকারের তরফ থেকে বাস চালাতে আমাদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনও যথেষ্ট নিরাপত্তা দিচ্ছে। ফলে এ অঞ্চলে বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ 

অবরোধে বিআরটিসি বাস বন্ধ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টিটো বলেন, ‘এটা তো সরকারি সংস্থা, তাদের বিষয়ে আমি বলতে পারব না। তবে জনজীবন স্বাভাবিক রাখার জন্য বিআরটিসি বাসও চালানো উচিত।’ 
 
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, ‘আমরা তো সবাইকেই বাস চালাতে উদ্বুদ্ধ করছি। বিআরটিসি বন্ধ, এটা আমার জানা ছিল না। আমি কথা বলব।’ 
 
বিআরটিসি বাস বন্ধের বিষয়ে কথা বলতে গেলে বুধবার সকালে রাজশাহীর ডিপো ইনচার্জ গোলাম রসুলকে তাঁর কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। 
 
বিআরটিসির পরিচালক (প্রশাসন) এস এম কামরুজ্জামান বলেন, ‘হরতাল-অবরোধে আমরা ভয় পাই না। ঢাকা-চট্টগ্রামে সিটি সার্ভিস আছে, সেখানে আমাদের বাস চলছে। দূরপাল্লার ক্ষেত্রে কোনো কোনো রুটে যাত্রীর সংকট, তেলের পয়সা উঠছে না। তাই বাস বন্ধ রাখা হয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবিসহ প্রশাসন আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। এর পরেও আমাদের কয়েকটা বাস ইতিমধ্যে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সে কারণে সতর্ক থেকে বাস চালাতে হচ্ছে। যেসব এলাকা নিরাপদ মনে করি, সেখানেও বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। রাজশাহী থেকে বাস বন্ধ রাখার কোনো কারণ নেই। যাত্রী হলেই বাস চলবে।’ ’

জয়পুরহাটে ট্রাক–ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১

সাজিদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রের কাছে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি

দুর্গাপুরে বধ্যভূমিতে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা ও মোনাজাত

রাকসুর জিএসকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার ফেসবুক পোস্ট

বগুড়ায় ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে চালক নিহত, আহত তিন

গভীর নলকূপ খনন: বরেন্দ্রজুড়ে শত শত মৃত্যুকূপ

শিশু সাজিদের শেষ বিদায়ে হাজারো মানুষের ঢল

আমার একটা কলিজা হারায় ফেলছি, বিচার চাই: সাজিদের বাবা

প্রাথমিকে শতভাগ বই, মাধ্যমিকে এল অর্ধেক

সব চেষ্টা—আকুতি বিফলে, মায়ের কোলে মৃত সাজিদ