হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

আমবাগানের ছায়ায় ঘুরবে অর্থনীতির চাকা

এইচ এম শাহনেওয়াজ, পুঠিয়া (রাজশাহী) 

আমগাছের ছায়াযুক্ত জমিতে কোনো ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। সেই ছায়াযুক্ত জমিতে এবার আদা চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দুই বন্ধু। তাঁরা বাগানের ছায়ায় প্রায় ৩ হাজার বস্তা সারিবদ্ধ করে ওই বস্তার মধ্যে জৈব সার মেশানো মাটি ভরাট করে আদা রোপণ করেছেন। আর এতেই বাজিমাত। 

দুই আদাচাষি হলেন আশিক উজ্জামান ও মেজবাউল হাসান। তাঁদের বাড়ি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের বিড়ালদহ এলাকায়। 

তবে কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই অঞ্চলে আমবাগানের পরিমাণ অনেক বেশি। সেখানে পরিকল্পিতভাবে আদা চাষ করা সম্ভব। এতে দেশে আদার চাহিদা পূরণের সঙ্গে চাষিরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন। 

এদিকে আমবাগানের ছায়ায় আদা চাষের সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের বিভিন্ন এলাকায়। দুই বন্ধুর এই সাফল্য দেখতে ও পরামর্শ নিতে ছুটে আসছেন অনেক আমবাগানের মালিকেরা। তাঁরা এখন বাগানের ছায়াযুক্ত জমিতে বাণিজ্যিক চাষাবাদের স্বপ্ন দেখছেন। 

চাষি আশিক উজ্জামান বলেন, ‘আমাদের আমবাগানের জমি পরিত্যক্ত থাকে। আর বাগানের ছায়াযুক্ত সেই পরিত্যক্ত জমি আধুনিক চাষাবাদে যুক্ত করা যায় কি না, তা নিয়ে দুই বন্ধু মিলে পরামর্শ করি। সেই লক্ষ্যে এবার পরীক্ষামূলকভাবে বাগানের দেড় বিঘা জমিতে বস্তার মধ্যে আদা রোপণ করেছি। এখন সেখানে সঠিক নিয়মে ও যথাযথভাবে পরিচর্যা করছি। আশা করছি ভালো ফলন হবে। 

অপর চাষি মেজবাউল হাসান বলেন, ‘আমাদের প্রজেক্টে প্রায় ৩ হাজার বস্তায় আদা রোপণ করা হয়েছে। এতে এখনো পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। আশা করছি এই আদার প্রজেক্ট থেকে সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা আয় হবে।’ 

আমবাগানের ছায়ায় বাণিজ্যিকভাবে আদার চাষ এই এলাকায় প্রথম। এখন বিভিন্ন এলাকার বাগানের মালিকেরা তাঁদের প্রজেক্ট দেখতে আসছেন। আর বস্তায় রোপণের প্রক্রিয়া ও আয়-ব্যয়ের বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন বলে জানান মেজবাউল হাসান। 

উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, আদার চাষ সাধারণত ছায়াযুক্ত স্থানই উপযোগী। সে হিসাবে আমবাগান খুবই উপযুক্ত স্থান। শুরুতেই বস্তায় জৈব সার মেশানো পরিমিত মাটি ভরা হয়েছে। এরপর ওই বস্তার মধ্যে বীজ আদা রোপণ করা হয়। শুরু থেকে কৃষি দপ্তরের তদারকি ও চাষিদের পরিমিত পরিচর্যায় ভালো ফলন আশা করা হচ্ছে। 

আদার চাষ দেখতে আসা আমবাগানের মালিক নজরুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাম বলেন, আমবাগানে লাঙলে চাষ দেওয়া অনেক ঝামেলা হয়। এ কারণে অনেকেই সেই জমি ফেলে রেখে দেয়। শুনেছি সেই পরিত্যক্ত জমিতে চাষ ছাড়াই বস্তার মধ্যে আদার বীজ রোপণ করা যায়। আর এতে খরচ অনেক কম। 

তাঁরা বলেন, বাজারে আদার চাহিদা যেমন আছে, তেমন দামও বেশি। তাই বাগানের পরিত্যক্ত জমিতে সঠিক নিয়মে চাষাবাদ করতে পারলে সব বাগানমালিক দ্বিগুণ লাভবান হবেন। 

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের সহকারী কর্মকর্তা খ ম জামাল উদ্দীন বলেন, এই উপজেলায় নতুন ও পুরোনো মিলে প্রায় ৯০০ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। আর সাধারণত আমবাগানগুলো রোপণ করা হয় উঁচু জমিতে। ফলে সেখানে জলাবদ্ধতার কোনো আশঙ্কা নেই। 

আমবাগানগুলোতে সব সময় ছায়া থাকার কারণে সেই জমি পরিত্যক্ত থাকে। সেখানে আধুনিক প্রযুক্তিগতভাবে আদার চাষাবাদ করতে পারলে দেশের চাহিদার বেশির ভাগ পূরণ করা সম্ভব। সেই সঙ্গে বাগানের মালিকদের অতিরিক্ত লাখ লাখ টাকা আয় হবে। এ বিষয়ে কৃষি দপ্তর থেকে আমবাগানের মালিকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান জামাল উদ্দীন।

দুয়ারেই বিষাক্ত ধোঁয়া দম বন্ধ পড়াশোনা

রাজশাহীতে কৃষক লীগ নেত্রী ও আ.লীগ সমর্থক আইনজীবীর মনোনয়নপত্র দাখিল

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: শোকে স্তব্ধ বগুড়াবাসী

কম্বল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৩

শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি: রাকসু জিএস আম্মার

রাজশাহী-৫ আসনে জামায়াতের প্রার্থী পরিবর্তন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: তহবিলের হিসাব না পেয়ে দৃশ্যত স্থবির রাকসু

রাজশাহীতে র‍্যাবের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

রাজশাহীর চরাঞ্চলে শিয়ালের আতঙ্ক, এক রাতে আক্রান্ত ২০০ গরু

বগুড়ায় বিএনপির মিছিলে হামলার মামলায় শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার