হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

চাল চুরির অভিযোগ তোলা যুবদলের দুজনের বিরুদ্ধে খাদ্য কর্মকর্তার মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর দুর্গাপুরে খাদ্য বিভাগের ১৪০ বস্তা চাল চুরির অভিযোগ তোলা যুবদলের দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। দুর্গাপুর সরকারি খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করেছেন। যদিও গত বুধবার তাঁকে বদলি করা হয়েছে। মামলার দুই আসামি হলেন রেজাউল করিম (৩০) ও সজিব আলী (২৮)। রেজাউলের বাড়ি দুর্গাপুর পৌরসভার পূর্বসিংগা মহল্লায়, সজিবের বাড়ি পশ্চিমসিংগা এলাকায়। রেজাউল দুর্গাপুর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আর সজিব যুবদলের নেতা হিসেবে পরিচিত।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৮ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে যুবদলের এ দুই নেতা বিনা অনুমতিতে খাদ্যগুদামে যান এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন যে—তিনি অনৈতিকভাবে অনেক আয়-রোজগার করেছেন, তাই তাঁদের দেড় লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। চাঁদা দিতে না চাইলে তাঁরা হুমকি দিয়ে চলে যান।

উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট খাদ্যগুদাম থেকে একটি ট্রলিতে করে ১৪০ বস্তা চাল নিয়ে গিয়ে গুদামের নৈশপ্রহরী শাহজাহান আলমের বাড়িতে ঢোকানো হচ্ছিল। যুবদলের ওই নেতা-কর্মীরা বিষয়টি দেখে ভিডিও করে রাখেন। জানাজানি হওয়ায় দ্রুতই ওই চাল আবার সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন তাঁর অফিসের কর্মচারীকে দিয়ে যুবদলের এ নেতাদের ডাকেন। সেখানে ইউএনও তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের পাশাপাশি মামলা করার হুমকি দেন বলে তাঁরা অভিযোগ তোলেন।

ঘটনার পর ফেসবুক লাইভে এসে রেজাউল করিম বলেন, ‘গরিব মানুষের ১৪০ বস্তা চাল খাদ্যগুদাম থেকে চুরি করে খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও ইয়াসিন আলী নৈশপ্রহরী শাহজাহানের সহযোগিতায় তাঁর বাসায় রাখেন। রফিকুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি ইউএনও স্যারের নাম বলেন। তাঁর নির্দেশেই নাকি এই চাল শাহজাহানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।’ তিনি অভিযোগ করেন, চাল চুরির প্রতিবাদ করায় ইউএনও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন। ভিডিও ডিলিট করতে তাঁর ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়।

এ নিয়ে গত সোমবার আজকের পত্রিকার অনলাইনে এবং পরদিন মঙ্গলবার প্রিন্ট সংস্করণে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরদিন বুধবার খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর সংযুক্তিতে মুলাধলীতে বদলি করা হয়েছে। আর নিরাপত্তা প্রহরী শাহজাহান আলম ও বাবুল কুমারকে বগুড়া খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে বদলি করা হয়। তবে রফিকুল ইসলাম সেখানে না গিয়ে যুবদল নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করলেন।

যুবদল নেতা রেজাউল করিম ও সজিব আলীর দাবি, ৭ টন চাল চুরির বিষয়টি ভিডিও করে সামনে আনার কারণে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। উল্টো সেদিন চাল চুরির বিষয়টি ধামাচাপা দিতে টাকা নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে তাঁদের দাবি।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মামলার বাদী রফিকুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। গত বুধবার তিনি দাবি করেছিলেন, নৈশপ্রহরী শাহজাহান আলমের বাড়িতে কারা চাল নিয়ে গেছে তা তিনি জানেন না। সেই চাল পরে তাঁর বাড়ি থেকে কোথায় নেওয়া হয়েছে, সেটিও তিনি জানেন না।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুল ইসলাম বলেন, খাদ্য কর্মকর্তা বাদী হয়ে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

৬৭ বছর পর রামেক হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড

মৎস্যজীবী পরিচয়ে পুকুর ইজারা যুবলীগ নেতার

সেলিম রেজার মনোনয়নে কনকচাঁপার ‘আলহামদুলিল্লাহ’

কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা বাদ, বিএনপির মনোনয়ন পেলেন সেলিম

ঈশ্বরদীর মা কুকুরকে দেওয়া হলো দুই ছানা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত, পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় শিশু নিহত, মহাসড়ক অবরোধ

রাজশাহীর রাজবাড়ি ভাঙার কাজ বন্ধ করল প্রশাসন

সাংবাদিকদের তালাবদ্ধ রাখার হুমকি দেওয়া যুবশক্তির দুই নেতাকে অব্যাহতি

রাজশাহীর ১১ পয়েন্টে পুলিশের ফোর্স মোবিলাইজেশন ড্রিল