গোপালগঞ্জের সহিংসতায় নিহত ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে প্রচার করায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ‘জুলাই যোদ্ধা’ জুলকার নাইম। তাঁর ডাকনাম হৃদয়। তিনি সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ধোপাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় কামারখন্দ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি ও তাঁর পরিবার এ প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জুলকার নাইম বলেন, ‘আমি জীবিত ও সম্পূর্ণ সুস্থ। আমার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই। অথচ আমার ছবি ও পরিচয় ব্যবহার করে “রমজান কাজী” নাম দিয়ে আমাকে ছাত্রলীগ সদস্য হিসেবে নিহত বলা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর।’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সঠিক তথ্য যাচাই না করে এমন বিভ্রান্তিকর সংবাদ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া খুবই দুঃখজনক। আমি সংশ্লিষ্টদের দ্রুত এই ভুল সংশোধনের আহ্বান জানাই।’
জুলকার নাইমের বাবা মো. আলী আক্কাস সরকার বলেন, ‘আমার ছেলে জীবিত ও বাড়িতেই আছে। অথচ গতকাল বুধবার গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তিদের তালিকায় মিথ্যা পরিচয় ও ছবি দিয়ে আমার ছেলেকে নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।’
উল্লেখ্য, গতকাল গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় চারজন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে কোটালীপাড়া উপজেলার রমজান কাজী, গোপালগঞ্জ শহরের দীপ্ত সাহা, টুঙ্গিপাড়ার সোহেল রানা ও সদর উপজেলার ইমন তালুকদারের নাম প্রকাশ করা হয়।
কিন্তু ওই ঘটনার পর ‘দৈনিক সমকাল’ পত্রিকায় ‘আমার সন্তানকে পাব কোথায়’ শিরোনামের খবরে নিহত রমজান কাজী হিসেবে জুলকার নাইমের ছবি ব্যবহার করা হয়। যা দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভ্রান্তি তৈরি হয়।