প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে নিজ বাসভবন ‘উজান’-এ তিনি মারা যান বলে আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তাঁর ছেলে ইমতিয়াজ হাসান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
রাজশাহীর চৌদ্দপাই বিহাস আবাসিক এলাকায় নিজ বাড়ি উজানে তিনি মারা যান। বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে পারিবারিক সূত্রে। তিন মেয়ে, এক ছেলেসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শক্তিশালী এই কথাসাহিত্যিক শেষ পর্যন্ত নিজের যাত্রা সমাপ্তি টানলেন। কথাসাহিত্যে তাঁর অবদানগুলো নিয়ে আলোচনা শুরুর আগে একবার দেখে নেওয়া যাক তাঁর অভিযাত্রাটির দিকে। রাঢ়বঙ্গের এ লেখকের কলমে উঠে এসেছে বাংলার সাধারণ মানুষের গল্পগাথা।
কিছুদিন আগেও একবার ভক্ত ও পাঠকদের ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন এই কথাসাহিত্যিক। হঠাৎ করেই এসেছিল তাঁর অসুস্থ হওয়ার খবর। বাংলা সাহিত্যের পাঠক মাত্রই দুরু দুরু বুকে অপেক্ষা করছিলেন সবাই। তবে সে যাত্রা সব শঙ্কাকে মিথ্যে করে ফিরে এসেছিলেন তিনি।
হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি রাজশাহীতে কাটিয়েছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৪ সাল পর্যন্ত একনাগাড়ে ৩১ বছর অধ্যাপনা করেন। এরপর থেকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে নগরের চৌদ্দপাইয়ের আবাসিক এলাকায় বসবাস করে আসছেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য হাসান আজিজুল হক ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করে। ২০১৯ সালে তাঁকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।