রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের পদ্মা নদীতে জেলের জালে ২৫ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে। আজ সকাল ৮টার দিকে উপজেলার দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় সোনাই হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
পরে মাছটি দৌলতদিয়া বাজারের আনোয়ার খাঁর মাছের আড়ত থেকে নিলামে বিক্রি করা হয়। স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে মোট ৩২ হাজার টাকা দিয়ে মাছটি কিনে নেন।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে পদ্মা নদীতে দেশীয় প্রজাতির বড় কোনো মাছ পাওয়া যাচ্ছিল না। মাছ না পাওয়ায় জেলেদের পাশাপাশি স্থানীয় মৎস্যজীবীরাও হতাশ ছিলেন। নদীতে পানি বাড়ায় অনেক দিন পর বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার অদূরে পদ্মা নদীর মোহনায় সোনাই হালদার ও তাঁর দল জাল ফেললে ২৫ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ শিকার করে।
পরে মাছটি সকাল ৯টার দিকে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন দৌলতদিয়া মাছ বাজারের আড়তদার আনোয়ার খাঁর ঘরে। সেখানে প্রকাশ্য নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৫ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা মাছটি কিনে নেন।
দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা বলেন, ভোর সকাল ৯টার দিকে আনোয়ার খাঁর আড়ত ঘর থেকে নিলামে অংশ নিয়ে এক হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে মোট ৩২ হাজার টাকায় কিনে নেই। মাছটি কেনার পর বিক্রির জন্য ফেরি ঘাটের পন্টুনের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। উৎসুক অনেকে মাছটি দেখতে ফেরি ঘাটে ভিড় করছেন।
গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরিফ বলেন, বছরে নির্দিষ্ট সময়ে ইলিশ মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে এই মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পায়। এ ছাড়াও এখন নদীতে পানি বাড়ার কারণে এসব বড় বড় মাছ নদীতে পাওয়া যাবে। নদীতে পানি বেশি থাকলে পাঙাশ, রুই, কাতলা, বোয়াল, বাগাড়সহ দেশীয় বড় প্রজাতির মাছ আরও ধরা পড়বে। আগামী প্রজন্মের জন্য এই মাছের স্থায়ী অভয়াশ্রম করা গেলে এমন মাছের বংশবৃদ্ধিসহ আরও বেশি পাওয়া যেত।