রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় কার্পেটিং উঠে গেছে। এতে বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।
আজ মঙ্গলবার সরেজমিনে ওই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দ। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা ঢাকামুখী যানবাহন হেলেদুলে যাচ্ছে ঘাটের দিকে। শুধু তাই নয়, কুষ্টিয়া কাউন্টারের সামনে টার্মিনাল ঘেঁষে রয়েছে একাধিক বড় বড় গর্ত।
অন্যদিকে, গত দুই দিন ধরে বিআইডব্লিউটিসির টোল কমপ্লেক্সের সামনে সড়ক বিভাগের দুটি গাড়ি ছোট ছোট গর্তে পাথর ও বিটুমিন দিয়ে কার্পেটিং করছে।
স্থানীয় দোকানিদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, বেহাল সড়কে মাঝেমধ্যেই যানবাহন উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। গত ২৩ নভেম্বর দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট এলাকায় সবজিবাহী ট্রাক উল্টে দোকান ঘেঁষে পড়ে যায়। এতে কয়েকটি সিমেন্টের খুঁটি ভেঙে গেছে। এর কয়েক শ গজ দূরে তেলের পাম্পের সামনে পরদিন ২৪ নভেম্বর ভোরে কলাবোঝাই ট্রাক উল্টে পড়ে। এতে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং যানজটের সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশন দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সম্পাদক মজিবর রহমান বলেন, খানাখন্দে গাড়ির চাকা পড়ে অনেক মূল্যবান যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। দুই দিন যাবৎ দেখছি সড়ক মেরামতের কাজ চলছে। তবে কাজের গতি আরও বাড়ানো দরকার।
কার্পেটিং কাজের দায়িত্বে থাকা সওজের সুপারভাইজার মিজানুর রহমান বলেন, সিরিয়ালে আটকে থাকা পণ্যবাহী ট্রাক থেকে তেল, মবিল ও পানি পড়ে সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়। সওজের পক্ষ থেকে গত দুই দিন যাবৎ সড়ক মেরামতের কাজ চলছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে সড়ক মেরামতের কাজ সম্পন্ন হবে।
রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরীফ খান বলেন, সড়কে দীর্ঘক্ষণ পণ্যবাহী গাড়ি অবস্থান করায় মবিল, ইঞ্জিনের তেল চুইয়ে পড়ে। পান, সবজি ও মাছের গাড়ি থেকে পানি পড়ে। এতে সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের পক্ষ থেকে সড়ক মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুতই সড়ক ঠিক হয়ে যাবে।