পাবনার ঈশ্বরদী ৫০ শয্যা হাসপাতালে সাপে কাটা রোগীর জীবন রক্ষাকারী ভ্যাকসিনের সরবরাহ নেই। ভ্যাকসিনের অভাবে চিকিৎসা না পেয়ে দুই বছরে ওই হাসপাতালে বিষধর সাপের কামড়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত এক মাসের ব্যবধানে নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে গত বুধবার রাতে মারা গেছেন উপজেলার সাড়া মাজদিয়া গ্রামের মর্তুজা হোসেনের ছেলে সাগর হোসেন (২০), ২০ জুলাই একই গ্রামের আকছেদ আলীর স্ত্রী শাহিদা খাতুন (৫০) ও গত ৪ জুলাই ছলিমপুর ইউনিয়নের বড়ইচরা গ্রামের জহির উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে রিপন প্রামাণিক (২৬)। এদের প্রত্যেককে ঈশ্বরদী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হলেও ভ্যাকসিন না পেয়ে তাঁরা মারা যান।
জানা যায়, ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত হাসপাতালটি স্বাস্থ্যসেবায় ১২টি পুরস্কার পায়। কিন্তু পুরস্কার পাওয়া এ হাসপাতালে ভ্যাকসিনের অভাবে বিনা-চিকিৎসায় মানুষের প্রাণহীন ঘটনায় জনমনে মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে।
শহরের মধ্য অরনকোলার বাসিন্দা মুশারফ হোসেন মুসা বলেন, আধুনিক এই যুগে সরকারি হাসপাতালে সাপে কাটার রোগীর ভ্যাকসিন নেই এটা অবিশ্বাস্য মনে হয়। কার ব্যর্থতার কারণে ঈশ্বরদীতে ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ রয়েছে তা খুঁজে দেখা দরকার।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসমা খানম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এখানে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার জন্য ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হচ্ছে না। আমরা বহুবার জানিয়েছি। তবুও কাজ হয় না। বাধ্য হয়ে রোগীকে আমরা দ্রুত পাবনা নিতে পরামর্শ দিয়ে থাকি।