হোম > সারা দেশ > নীলফামারী

ভুল তথ্যে ভরা সরকারি দপ্তরের ওয়েবসাইট, বিভ্রান্তিতে মানুষ

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানা মারা গেছেন প্রায় পাঁচ বছর আগে। এরপর দুবার নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে ওই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করছেন মৃত রাজিয়া সুলতানার মেয়ে সাবিয়া বেগম। কিন্তু উপজেলার তথ্য বাতায়নের ওয়েবসাইটে রাজিয়া সুলতানাকেই কাউন্সিলর হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ২০১১-১২ অর্থবছরে প্রতিটি সরকারি অফিসের জন্য তৈরি করা হয়ছিল ২৪ হাজার ওয়েবসাইট। আর জাতীয় তথ্য বাতায়নের অধীনে সৈয়দপুর উপজেলার ২৮টি দপ্তরের পৃথক ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়ছিল। উদ্দেশ্য ছিল সরকারি সব কার্যক্রম সম্পর্কে সার্বক্ষণিক আপডেট থাকা এবং জনসাধারণকে জানানো। যেন একজন সাধারণ মানুষও সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কাঙ্ক্ষিত তথ্য পেতে পারেন। ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য রয়েছে প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জাম। তথ্য বাতায়নের বিষয়টি দেখার জন্য প্রতিটি উপজেলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক একটি কমিটি রয়েছে। কমিটির সভাপতি হচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

সরেজমিনে জাতীয় তথ্য বাতায়নের সৈয়দপুর উপজেলার ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে তথ্য হালনাগাদ করা হয়নি। সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নাম লেখা শাহজাহান পাশা। অথচ প্রায় তিন বছর আগে বদলি হয়েছেন তিনি। এরপর আরও একজন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছেন। চলতি বছরের ১৪ জুলাই ওসি হিসেবে যোগদান করেছেন সাইফুল ইসলাম।

সেবাগ্রহীতারা অভিযোগ করে জানান, শুধু পৌরসভারই নয়, উপজেলার তথ্য বাতায়ন পুরোনো এবং ভুল তথ্য দিয়ে ভরা। কয়েক বছর ধরে হালনাগাদ করা হচ্ছে না। অধিকাংশ দপ্তরের কর্মকর্তা ও সেবার কোনো তথ্য নেই। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম, গুরুত্বপূর্ণ নোটিশ, কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেবাগ্রহীতাদের যোগাযোগের তথ্য, বিভিন্ন সভার কার্যবিবরণী, উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য ও সুবিধাভোগীদের তালিকাও নেই ওয়েবসাইটে। ২০০৯ সালের তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী যেসব তথ্য স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রকাশ করার কথা, ওই সব তথ্যও নেই। জনবল ও ফ্রি ওয়াইফাই থাকলেও নেই হালনাগাদের তথ্য। এতে সাধারণ মানুষ সঠিক তথ্য পেতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন।

সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থী লাবিব হোসেন বলেন, ‘জেলায় অনুষ্ঠিত এক কুইজ প্রতিযোগিতায় উপজেলার ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে উত্তর দিয়েছিলাম, যা ছিল ভুল। এতে আমাকে চরম বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়েছিল।’

উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাসকান্দ গ্রামের ইমরান হোসেন নামে এক যুবক বলেন, সৈয়দপুর উপজেলার অধিকাংশ সরকারি দপ্তরের ওয়েবসাইট তথ্য আপডেট করা নেই। কয়েকটিতে তো কর্মকর্তার নাম ও যোগাযোগের তথ্যও নেই। ফলে আমরা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছি না।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হুসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলার দপ্তরভিত্তিক আলাদা আলাদা ওয়েবসাইট আছে। তথ্য হালনাগাদ করার দায়িত্ব প্রতিটি দপ্তরের। প্রতিটি দপ্তরের নিজ নিজ ওয়েবসাইটের তথ্য হালনাগাদের জন্য বলা হয়েছে।

নীলফামারী-১ আসন: তুহিনের মনোনয়ন দাবি সমর্থকদের, আফেন্দীকে বর্জনের হুঁশিয়ারি

নীলফামারীর ৪টি আসন: চমকে দিতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

নীলফামারীতে পুকুরে মিলল ব্যাংকের ভল্ট

হাইড্রোসেফালাসে আক্রান্ত আয়শার চিকিৎসা বন্ধ, অর্থাভাবে মানবেতর জীবন

জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ঘোড়ার মৃত্যুতে দিশেহারা হালিমার পরিবার

লাভের আশায় লোকসানে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা

মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেলেন সৈয়দপুরের এক কলেজের ৪৫ শিক্ষার্থী

ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধারের দাবি

ময়দা দিয়ে তৈরি হতো ওষুধ, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

রেলওয়ের জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ, প্রকৌশলীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা