নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে ১৫ লাখ ৪১ হাজার টাকা মূল্যের গম বিক্রি করার অভিযোগে দুদকের পৃথক দুটি মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। এ রায়ে সাবেক খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) আব্দুল মতিনকে ৭ বছর করে মোট ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলাটি করার প্রায় ২৭ বছর পর গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের বিভাগীয় বিশেষ জজ রেজাউল করিম এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আব্দুল মতিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে পুলিশি পাহারায় রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়।
দুদকের আইনজীবী হারুন উর রশীদ জানান, মামলাটি দুর্নীতি দমন ব্যুরো থাকা কালে রুজু করা হয়েছিল। দুই মামলার মধ্যে একটি মামলার বাদী ছিলেন কিশোরগঞ্জ খাদ্য গুদাম নিয়ন্ত্রক আব্দুল ওয়াহেদ এবং অপর মামলার বাদী ছিলেন তৎকালীন দুদকের পরিদর্শক আব্দুস সবুর। দুদক মামলাটি সাক্ষ্য ও দালিলিক প্রমাণ দ্বারা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ খাদ্য গুদামে কর্মরত থাকার সময় সাবেক ওসিএলএসডি আব্দুল মতিন দুই দফায় দুই লাখ ৪১ হাজার টাকা ও ১৩ লাখ টাকার গম গুদাম থেকে কালোবাজারে বিক্রি করে সব টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় দুদক আইনে ১৯৯৫ সালে তাঁর বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। দুই মামলায় মোট ২২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও জেরা শেষে দুই মামলায় সাত বছর করে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।