হোম > সারা দেশ > নীলফামারী

নীলফামারীর সৈয়দপুর

৫ বছরেও শেষ হয়নি কাজ, মাঠে পাঠদান

রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী) 

সৈয়দপুরের কুমারগাড়ী দাখিল মাদ্রাসায় ভবন নির্মাণ শেষ না হওয়ায় মাঠেই পাঠদান করা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

নীলফামারীর সৈয়দপুরের কুমারগাড়ী দাখিল মাদ্রাসার চারতলা ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের জুন মাসে। শেষ হওয়ার কথা পরের বছর ডিসেম্বরে। কিন্তু পাঁচ বছরেও কাজ শেষ হয়নি। তিন দফা বাড়ানো হয়েছে মেয়াদ। এরপরও ২৫ শতাংশ কাজ বাকি রেখে ঠিকাদার ৮০ শতাংশ বিল তুলে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আর খোঁজ মিলছে না ঠিকাদারের। তিনি গা ঢাকা দেওয়ায় নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। এদিকে শ্রেণিকক্ষ সংকটে বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে খেলার মাঠে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

মাদ্রাসা ও নীলফামারী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শ্রেণিকক্ষ সংকট দূর করতে ১২ কক্ষবিশিষ্ট চারতলা ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিলে দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র অনুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩ কোটি ২৬ লাখ ৫ হাজার ৫১৩ টাকা ১৯ পয়সা বরাদ্দ দেওয়া হয়। দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পায় দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মোহাম্মদ শাহ আলমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড জিন্নাত আলী জিন্নাহ (জেভি)। কাজ শুরু হয় একই বছরের ১৭ জুন। চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। এরপর নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ার অজুহাতে ২০২১ সাল থেকে ৩ বছর কাজ বন্ধ রাখে। পরবর্তী সময়ে ২০২৩ সালে পুনরায় কাজ শুরু করার ৩ মাসের মাথায় আবারও কাজ বন্ধ করে দেন। ২৫ শতাংশ বাকি থাকলেও বর্তমানে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে ১ কোটি ৮৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন ঠিকাদার।

শিক্ষার্থীরা জানায়, বেশির ভাগ সময় তাদের খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে হয়।

মাদ্রাসা সুপার মোছা. ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘বারবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও তারা নির্মাণকাজ শেষ করছে না। এ ব্যাপারে আমরা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর নীলফামারীর প্রধান প্রকৌশলী বরাবর কয়েকবার চিঠি দিয়েছি। এরপরও কাজ শেষ করতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় মাদ্রাসার কার্যক্রম বন্ধ থাকলে সেখানে এলাকার কিছু মাদকসেবী মাদকের আড্ডা বসায়। এ ছাড়া নানা অসামাজিক কাজ করে।’

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী হাজেরুল ইসলাম বলেন, ‘এ পর্যন্ত ভবনটির ৭৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় ওই ঠিকাদারকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরপর তিন দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু বর্ধিত সময়েও কাজ শেষ করতে পারেনি। এ বিষয়ে আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বললে তারা আমাদের চলতি বছরের আগামী জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা জানায়। কিন্তু এর মধ্যে হঠাৎ করেই কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। প্রকৌশলী আরও বলেন, ‘মোবাইল ফোনেও যোগাযোগের চেষ্টা করে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। জুনের মধ্যে কাজ শেষ না হলে চুক্তি বাতিল করে অবশিষ্ট কাজের জন্য আবার দরপত্র দিয়ে কাজটি শেষ করা হবে।’

ডিমলায় সার না পেয়ে ডিলারের গুদাম ভাঙচুর-লুট

নীলফামারীতে ট্রাকচাপায় নৈশপ্রহরী নিহত

শ্রমিক নেতাকে মারধর, রংপুর-নীলফামারী বাস চলাচল বন্ধ

লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে পাস, ভাইভায় ধরা খেলেন দুই পরীক্ষার্থী

পলিনেট হাউসে কৃষিতে নতুন দিগন্ত, বছরে সোহেলের লাভ ১০ লাখ টাকা

রেলের জমি দখল করে ভবন, সাবেক কাউন্সিলর-প্রকৌশলীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বাবার বাড়ি থেকে ফেরার পথে প্রাণ গেল নারীর

নীলফামারীতে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

কেঁচো সার উৎপাদনে স্বাবলম্বী ডিমলার একাদশী

সৈয়দপুরে বাসচাপায় ভ্যানচালক নিহত