নীলফামারীর সৈয়দপুরে মৎস্যজীবী লীগ নেতার বাড়ি ভাঙচুর মামলার ২১ দিন পার গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বরং মামলার তদন্তে গড়িমসি ও পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
আজ সোমবার সৈয়দপুর মুন্সিপাড়া নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন মামলার বাদী ও জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল সরকার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমরা নিজের কেনা জমিতে বাড়ি করছি। প্রতিবেশী যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফাইয়াজুল হক সাজু আমার বাড়ির এক শতক জমি নিজের বলে দাবি করেন। এ জন্য আমার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন তিনি। চাঁদা না দেওয়ায় গত ৯ মার্চ সাজুর নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তারা আমার বৃদ্ধ মা-বাবাকে হত্যার হুমকি দেয়।’
মো. জুয়েল সরকার বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি দলীয় কাজে নীলফামারীতে ছিলাম। পরে এসে ঘটনা দেখে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭০ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এর দুইদিন পর মামলা নেয়। তবে মামলা দায়েরর প্রায় ২১ দিন পার হলেও আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের কোনো তৎপরতা নেই। এমনি ঘটনাস্থলেও আসেননি তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন–ভুক্তভোগীর বাবা ও রেলওয়ে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল আহমেদ, স্কুলশিক্ষিকা রওশন আরা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম ফজলুল হক, জেলা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান লিটনসহ মৎস্যজীবী লীগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলায় যে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা মহামান্য হাইকোর্ট থেকে ইতিমধ্যে জামিন নিয়ে এসেছেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’