নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের কৃষকেরা আগাম পেঁয়াজ চাষ করে লাভের আশায় বুক বেঁধেছেন। চলতি বছর স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে পেঁয়াজের ব্যাপক চাহিদা ও বাজার মূল্য বেশি থাকায় বিগত বছরের চেয়ে এবার বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন স্থানীয় কৃষকেরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কম খরচে অধিক ফলন, ভালো দামে পেলে বিঘা প্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ পাবেন এমনটাই আশা পেঁয়াজ চাষিদের।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলার কৃষকেরা পেঁয়াজ চাষে বেশি লাভবান হবেন। এ বছর ১০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন পেঁয়াজের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষাণ-কিষানিরা আগাম পেঁয়াজের বাজার ধরার প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছেন। এ জন্য জমিতে আগাছা পরিষ্কার, সেচ ও কীটনাশক প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা।
একই গ্রামের কৃষক বিনয় চন্দ্র দুই বিঘা, পুটিমারী কাচারীপাড়ার আনছার আলী এক বিঘা, মাগুড়া মিয়াপাড়ার শাহজাহান আলী দেড় বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষাবাদ করেছেন। তাঁরা বলেন, এ এলাকার বালু মিশ্রিত জমিতে অন্য ফসলের তুলনায় পেঁয়াজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। যথা সময়ে সেচ, পরিচর্যা করলে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায়। সঠিক সময়ের কৃষি প্রণোদনা, কম পরিশ্রম ও লাভ তুলনামূলক বেশি হওয়ায় পেঁয়াজ চাষ দিন দিন বাড়ছে।
কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভারত থেকে আমদানি কমানোসহ দেশের বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে কৃষিবান্ধব সরকার যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৭৫ জন কৃষক পর্যায়ে বিনা মূল্যে নাসিক রেড-৩ উচ্চ ফলনশীল বীজ, সার, পরামর্শ প্রদান, পদ্ধতিগত প্রদর্শনী প্লট স্থাপন এবং অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। মৌসুমের আগে এ পেঁয়াজ উত্তোলন করা হলে বাজারে এর চাহিদা মিটবে এবং কৃষকেরা লাভবান হবেন।