বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নীলফামারীতে বাড়িঘর–ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে সদর থানায় মামলা দুটি দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এম আর সাঈদ মামলা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী (বাদী) জেলা বিএনপির সভাপতি আ. খ. ম আলমগীর সরকার নামীয় ৫১ জন এবং অপর মামলায় এ. কে. এম বদিউল আলম সরকার নামীয় ৪১ জনকে আসামি করেছেন। এ ছাড়া দুই মামলা অজ্ঞাত আরও ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদীরা সম্পর্কে আপন ভাই বলে জানা গেছে।
আসামিরা হলেন–জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মমতাজুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. মাহাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রাসেল আমিন স্বপন, সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মনিরুল হাসান শাহ আপেল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার প্রমুখ।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট নীলফামারীতে ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করে। এ সময় মামলার নামীয় ৫১ জনসহ ১৫০ থেকে ২০০ ব্যক্তি শহরের বিভিন্ন স্থানে মিছিলে হামলা চালায়। এরপর বিকেলের দিকে উল্লেখিত ব্যক্তিরা বাদীর বাড়িতে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
অপর মামলায় বলা হয়েছে, ওই দিন বেলা ৩টার দিকে আসামিরা বাদীর দোকানের সাটার ভেঙে ১৬ লাখ টাকার ক্রীড়া সামগ্রী লুট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২০ লাখ টাকা বলে উল্লেখ করেন বাদী।