নীলফামারীর সৈয়দপুরের মেডিকেল কোচিং সেন্টার বিটস এর পরিচালক আব্দুল হাফিজ ওরফে হাপ্পুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে সিআইডির পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার থেকে বুধবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ জন চিকিৎসকসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত চিকিৎসকেরা হলেন ডা. ফয়সাল আহমেদ রাসেল, ডা. তৌফিকুল হাসান রকি, ডা. মো. সোহানুর রহমান সোহান, ডা. ফয়সাল আলম বাদশা ও ডা. ইবরার আলম।
গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বিটস কোচিংয়ের পরিচালক আবদুল হাফিজ ওরফে হাপ্পু, মো. রায়হানুল ইসলাম সোহান ও বকুল রায় শ্রাবণ।
সিআইডির পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আবদুল হাফিজ ওরফে হাপ্পু নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বিটস নামে একটি কোচিং সেন্টারের পরিচালক। এ ছাড়াও তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালের মালিক। পূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামি ডা. জিল্লুর হাসান রনির মাধ্যমে প্রশ্ন পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিনি তার কোচিংয়ের শিক্ষার্থীদের অনৈতিক উপায়ে মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছেন। ইতিমধ্যে তাদের বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করেছে সিআইডি।’
গ্রেপ্তারকৃত ডা. সোহানুর রহমান সোহান বিটস কোচিং সেন্টারের পরিচালক আবদুল হাফিজ ওরফে হাপ্পুর কাছ থেকে ২০১৩ সালে প্রশ্ন পেয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেলে ভর্তি হন। পরবর্তীতে বিসিএস (স্বাস্থ্য) কর্মকর্তা হিসেবে পার্বতীপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন।