নীলফামারীর সৈয়দপুরে সূর্যের হাসি ক্লিনিকের ৪ কর্মচারীকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার সকালে তাঁরা অফিসে গেলে তাঁদের অফিস থেকে বের হরে দেওয়া হয়। এতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেন চাকরিচ্যুত কর্মচারী ও তাঁদের স্বজনরা।
জানা গেছে, উম্মে কুলসুম পারভীন, মোছা. শিউলি, শামসুর রহমান ও কামরুন্নেসা নামের চারজন কর্মচারী ভিন্ন ভিন্ন পদে দীর্ঘদিন ধরে ওই ক্লিনিকে কর্মরত। প্রতিদিনের মতো ওই দিন কর্মস্থলে হাজির হলে তাঁদের চাকরি নেই বলে বের করে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে ভুক্তভোগীরাসহ তাঁদের আত্মীয়-স্বজন একত্রিত হয়ে ব্যবস্থাপককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তাঁরা ক্লিনিকের প্রধান গেটে তালা লাগিয়ে দেন। এতে সেবা নিতে আসা অনেক রোগী ও তাঁদের স্বজনদের ফিরে যেতে হয়।
ভুক্তভোগী কর্মচারী উম্মে কুলসুম পারভিন বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে এখানে আয়া পদে কর্মরত ছিলাম। এখন এই বয়সে কোথায় যাব। কে চাকরি দেবে? আমার অসুস্থ স্বামী অসুস্থ। সাত মেয়ের মধ্যে তিন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। বাকি ৪ জন পড়ালেখা করছে। চাকরি না থাকলে তাঁদের খাওয়া ও পড়ালেখার খরচ কীভাবে চালাব?’
শিউলি বেগম নামে আয়া পদের অন্য এক কর্মচারী বলেন, ‘এখানে চাকরির প্রথম দিন থেকে যখন যা বলেছে তাই করেছি। আর আজ এসেই বলে চাকরি নেই। আমরা কোথায় যাব।’
তাঁদের ৪ জনের অভিযোগ, বিনা কারণে তাঁদের ছাঁটাই করেছে কর্তৃপক্ষ। পছন্দমতো লোকদের চাকরিতে বহাল রাখতে ও নিয়োগ দেওয়ার একটা কৌশল অবলম্বন করেছে ক্লিনিকটি।
এ ব্যাপারে সূর্যের হাসি ক্লিনিকের সৈয়দপুর শাখার ব্যবস্থাপক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দিয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তাই তাদের অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমার কিছু করার নেই। অব্যাহতির পূর্বে তাঁদের দুই মাসের বেসিক স্যালারি প্রদান করা হয়েছে।’