নীলফামারীর ডিমলায় কুমলাই নদীর সেতুর নিচ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ছবি তোলায় এক সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ক্যামেরা, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। গতকাল রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সুমন স্থানীয় একটি পত্রিকার ডিমলা উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। এ ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ডিমলা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক সুমন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের শিক্ষকপাড়া এলাকায় কুমলাই নদীতে সদ্য নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ চলছে। নির্মাণকাজে সেতুর নীচ থেকে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সুমন। সেখানে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ছবি তোলেন তিনি।
এ সময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী চক্রের গোলাম রাব্বানী, সায়েদ আলীসহ কয়েকজন তাঁকে মারধর করে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয় সাংবাদিক জামান মৃধাসহ কয়েকজন তাঁকে উদ্ধার করে।
সুমন অভিযোগ করেন, উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ কর্মকর্তার যোগসাজশে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটের সদস্যরা তাঁকে নির্যাতন করেছেন। তার মাথা, কপাল ও বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান বলেন, ‘সাংবাদিকেরা তো চাঁদাবাজ। চাঁদাবাজি করতে গেলে তো মার খাবেই।’ সেতুর নীচে বালু উত্তোলনের নিয়ম আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি দেখছি।’
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লাইছুর রহমান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’