নাটোরের লালপুরে তিনটি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে জেলা ছাত্রদল। কমিটিতে সভাপতি-সম্পাদকসহ সম্প্রতি নিষিদ্ধ হওয়া সংগঠন ছাত্রলীগের একাধিক কর্মীকে পদায়নের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে অভিযুক্তদের ঘোষিত পদসহ প্রাথমিক পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা ছাত্রদল।
জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আসিফ ইকবাল নতুন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রদলের প্রাথমিক সদস্য ফরমে ভুল ও মিথ্যা তথ্য প্রদানের কারণে আব্দুলপুর সরকারি কলেজ (লালপুর, নাটোর) শাখা ছাত্রদলে মো. শাকিল হোসেন ও জাহিদ আলী, গোপালপুর ডিগ্রি পাস ও অনার্স কলেজ শাখার মো. সিয়াম আলী এবং খুবজীপুর ডিগ্রি কলেজ শাখার মো. রবিন হোসেনকে ঘোষিত পদসহ প্রাথমিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইসলাম সৃজন এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুলপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে সভাপতির পদ পেয়েছেন ছাত্রলীগ কর্মী শাকিল হোসেন ও সহসভাপতি জাহিদ আলী। গোপালপুর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ছাত্রলীগ কর্মী সিয়াম আলী। একইভাবে লালপুর ডিগ্রি কলেজের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আরাফাত উভয়েই ছাত্রলীগ কর্মী ছিলেন।
এ বিষয়ে নবগঠিত কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাকিব হাসান বলেন, শাকিল আব্দুলপুর কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। তিনি বিগত সময়ে ছাত্রলীগের সব কর্মসূচিতে সামনের সারি থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সক্রিয় ছিলেন। অবিলম্বে তাঁকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে আব্দুলপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, ‘আমরা পারিবারিকভাবে বিএনপি করি। নতুন কমিটি হলে এমন অভিযোগ উঠতেই পারে। আমি বিগত সময়ে ছাত্রলীগের কোনো পদে ছিলাম না, কর্মসূচিতে ছিলাম না। এমনিতেই কলেজের বিভিন্ন প্রোগ্রামে সাধারণ ছাত্র হিসেবে বক্তব্য রেখেছি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে প্রতিপক্ষরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মারফ ইসলাম সৃজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইসলাম সৃজন স্বাক্ষরিত চিঠিতে শাকিল হোসেনকে সভাপতি ও রাকিবুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ১২ সদস্যের আব্দুলপুর সরকারি কলেজ, মেহেদী হাসানকে সভাপতি ও জুবায়ের আরাফাতকে সাধারণ সম্পাদক করে আট সদস্যের লালপুর ডিগ্রি কলেজ এবং মাসুদ রানাকে সভাপতি ও সিয়াম আলীকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন সদস্যের গোপালপুর ডিগ্রি কলেজ কমিটি ঘোষণা করা হয়।