নাটোরে নলডাঙ্গায় সাইকেল মেকানিকের হত্যার অভিযোগে তার শ্যালককে সস্ত্রীক কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রেজাউল ইসলাম নামের এই ব্যক্তির মরদেহ পাওয়ার পর গতকাল তাঁর বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—শাহিন আলী (২৮) ও তার স্ত্রী জুলিয়া খাতুন জলি (২২)। তাদের গতকাল আটক করার পর আজ বুধবার ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয় বলে জানান নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম।
এ নিয়ে ওসি আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ নিয়ে তদন্ত চলছে। আজ বুধবার বিকেলে নাটোর আদালতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন শ্যালক শাহীন আলী ও তাঁর স্ত্রী জুলিয়া খাতুন জলি। জবানবন্দি গ্রহণের পর তাঁদের কারাগারে পাঠানোর হয়। তবে এখনো রেজাউলের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর হয়নি।’
নলডাঙ্গা থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার মির্জাপুর দিঘার ঘোষ পাড়া গ্রামের একটি আখ খেত থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে লাশের পরিচয় জানা যায়নি। আজ বুধবার জানা গেছে মরদেহটি উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের রেজাউল ইসলামের। দুই সপ্তাহ ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় রেজাউলের শ্যালক শাহীন আলী ও শাহীনের স্ত্রী জুলিয়াকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহীন আলী জানান, তাঁর স্ত্রী জুলিয়া খাতুনের সঙ্গে রেজাউলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে রেজাউলের সঙ্গে তাঁর হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে তিনি রেজাউলকে লাঠি দিয়ে পেটান। এরপর সঙ্গে থাকা কীটনাশক খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান রেজাউল। এরপর তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর আগে নিখোঁজ হওয়ার রেজাউলের বাবা নিজাম উদ্দিন নলডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। তবে আখ খেতে কীভাবে তাঁর মরদেহ গেল সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।