নাটোরের বড়াইগ্রামে মমতাজ বেগম (৭০) নামের এক বৃদ্ধার মুখমণ্ডল থেঁতলানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বনপাড়া পৌর সদরের সর্দারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির দুই গৃহকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত বৃদ্ধা ওই এলাকার মৃত ইঞ্জিনিয়ার শফিউল্লাহর স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক যুগ আগে মমতাজ বেগমের স্বামীর মারা যান। তখন থেকেই তিনি বাড়িতে একা বসবাস করতেন। একমাত্র ছেলে জাকির হোসেন মঞ্জু অন্য একটি বাড়িতে ও মেয়ে বেবি আক্তার স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় বসবাস করেন। দুজন গৃহকর্মী মমতাজ বেগমকে দেখাশোনা করতেন। সারা দিন কাজ করতেন সুফিয়া বেগম (৪০) আর রাতে দায়িত্বে থাকেন কাজী আবু শামা (৬১) নামের দুই গৃহকর্মী।
গৃহকর্মী আবু শামা মসজিদে এশার নামাজ শেষে বাড়িতে ফিরে দেখেন মমতাজ বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় নিজ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছেন, তাঁর মুখমণ্ডল থেঁতলানো। পরে তিনি চিৎকার দিলে প্রতিবেশী আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়রা মমতাজ বেগমকে উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় নিহতের শরীরে পরিহিত কয়েকটি স্বর্ণালংকার পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের দাবি, এই স্বর্ণালংকার ও বাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনা থেকে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির দুই গৃহকর্মীকে আটক করা হয়েছে। হত্যার কারণ উদ্ঘাটনে মাঠে নেমেছে পুলিশ। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হবে।’