হোম > সারা দেশ > নাটোর

ডেঙ্গু কেড়ে নিল রাবির মুরাদের ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন 

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মুরাদ মৃধার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নাটোরের বড়াইগ্রামের খাটাসখৈল গ্রামে তাঁর জানাজা হয়। এরপর স্থানীয় কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। 

এর আগে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর ১০ দিন আগে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি কিডনি জটিলতায় ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হন। মুরাদ মৃধা খাটাসখৈল গ্রামের আব্দুস সাত্তারের দুই ছেলের মধ্যে ছোট। 

আব্দুস সাত্তার মৃধা আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি অন্যের খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করে বিক্রি করেন। গুড় বিক্রির টাকা দিয়ে তিনি কোনো রকমে সংসার চালান। বাড়িঘর তেমন একটা করতে পারেননি। উপার্জনের বড় অংশ ব্যয় করেছেন দুই ছেলের পড়ালেখায়। 

বড় ছেলে মুন্না মৃধা। তিনি গত বছর মাস্টার্স শেষ করে স্কয়ার কোম্পানিতে কর্মকর্তা পদে চাকরি করেন। ছোট ছেলে মুরাদ আহমেদ মৃধা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। এক মাস আগে তাঁর অনার্স পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। তাঁর স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা শেষ করে বিসিএস ক্যাডার হবে। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন। 

তিনি আরও বলেন, মুরাদ ২৬ জানুয়ারি বাড়ি এসে জ্বরে আক্রান্ত হয়। সঙ্গে বমি করছিল। স্থানীয় একজন চিকিৎসককে দেখালে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে দেন। রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু রোগ ধরা পড়ে। কিন্তু পাঁচ দিন চিকিৎসা করার পরও সুস্থ না হওয়ায় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে লিভার ও কিডনি সমস্যা ধরা পড়ে। 

গত বৃহস্পতিবার তাঁর ডায়ালাইসিস শুরু হয়। কিন্তু তাতেও তিনি সুস্থ হননি। পরিবারের লোকজন গত শুক্রবার তাঁকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেও ডায়ালাইসিস করতে বলা হলে স্বজনেরা তাঁকে আবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। 

গতকাল সোমবার তাঁকে দ্বিতীয় ডায়ালাইসিসে নেওয়া হলে অবস্থার আরও অবনতি হয় এবং সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়। রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের নেতৃত্বে শতাধিক সহপাঠী তাঁর মরদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেন। 

মুরাদের চাচা আফছার মৃধা বলেন, ‘আমাদের পৈতৃক জমিজমা তেমন ছিল না। তবুও মুরাদের বাবা তাঁর ছেলেদের ব্যাপারে খুবই সচেতন ছিলেন। এমনকি সুদের ওপর টাকা ধার নিয়ে ছেলেদের লেখাপড়ার খরচ ও খাবারের ব্যবস্থা করতেন।’ 

তিনি বলেন, ‘যেদিন অনার্সের ফল প্রকাশ হয় সেদিন মুরাদ বাড়িতে ছিল। মোবাইলে প্রথম শ্রেণি পাওয়ার খবর জেনে সে আনন্দে চিৎকার করে উঠেছিল। আমি দৌড়ে তার কাছে গিয়েছিলাম। সে বাজার থেকে মিষ্টি আনায়ে আমাকে খাইয়ে ছিল। আমার কাছে দোয়া চেয়ে বলেছিল, সে বিসিএস কর্মকর্তা হবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল।’

সুদান হামলা: মিশন যাত্রার ১ মাস ৮ দিনের মাথায় প্রাণ গেল শান্তিরক্ষী মাসুদের, পরিবারে মাতম

বড়াইগ্রামে মুখ থেঁতলানো ও চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার

হজের খরচ ১০০ ডলার কমাতে বিমানকে চিঠি দিয়েছে সরকার: ধর্ম উপদেষ্টা

নাটোরের চার আসন: সরব বিএনপি, মরিয়া জামায়াত

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

পৌরসভার বর্জ্যে নদী পরিণত হচ্ছে নর্দমায়

গুড় তৈরিতে কাপড়ের রং ব্যবহার, এক লাখ টাকা জরিমানা

ধানুড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়: চার বছরে ১০৬ শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ

ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরা হলো না সেনাসদস্যের

নাটোরে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ৪১